Necrophilia in Indore: জঘন্যতম ঘটনা! ইন্দোরে মায়ের মৃতদেহের সঙ্গে যৌনসঙ্গম করার সময় ধরা পড়ল ছেলে

এর চেয়ে জঘন্যতম ঘটনা বোধহয় আর হয় না! মায়ের মৃতদের সঙ্গে যৌনসঙ্গম করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের পালাসিয়া থানার গোয়ালতলি এলাকায়। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। ঘটনার পরেই অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করে পুলিশ। যদিও তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশের অনুমান, ওই যুবক মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। এই অভিযোগ সামনে আসার পরে ৭০ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: মৃত মহিলাকে ধর্ষণ, ৩৭৫ ধারার মধ্যে পড়বে না, জানাল আদালত

জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশ ২৯৭ ধারায় মৃতদেহের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে। অভিযুক্ত যুবকের বয়স ২২ বছর। অভিযুক্ত মানসিকভাবে ভারসাম্য কিনা তা জানার জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে। পালাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার, জগদীশ প্রসাদ জামরে জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাতে। রাস্তাতেই মায়ের মৃতদেহের সঙ্গে যুবক যৌন সঙ্গম করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করার পাশাপাশি অভিযুক্ত যুবককে আটক করে। জানা গিয়েছে, ১৭ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধার ফুসফুসে সমস্যা ছিল। শ্বাসকষ্টের কারণে সরকারি মহারাজা যশবন্তরাও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বৃদ্ধাকে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা বৃদ্ধাকে মৃত ঘোষণার পরে যুবক তার মায়ের মৃতদেহ নিয়ে চলে যায়। তবে যুবক যে এরকম কাণ্ড করবে তা কেউই বুঝে উঠতে পারেনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলের কাছে একটি হস্টেল রয়েছে। সেখানে যুবককে এরকম কাণ্ড করতে দেখেন হস্টেলের ছাত্ররা। এরপর তারা সেই ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করার পাশাপাশি পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি যুবককে আটক করে। পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে যুবকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মৃত দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি দুই ছাত্রের কাছ থেকে রেকর্ডিং করা ভিডিয়ো সংগ্রহ করে সেগুলির সত্যতা যাচাই চেষ্টা করছে পুলিশ। উল্লেখ্য, নেক্রোফিলিয়া হল একটি মানসিক অসুখ। এই অসুখে আক্রান্ত ব্যক্তিরা মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করার প্রবল আকাঙ্খা দেখা দেয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মৃতদের সঙ্গে সহবাস এমনকী খুন করেও মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস করার একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। তবে সাম্প্রতিক অতীতে এমন ধরনের ঘটনার নজির নেই বললেই চলে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।