‘‌গ্রামে জল পৌঁছে যাবে’‌, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে খুলল জট, ফাঁস করলেন নেপথ্য ঘটনা

নকশাল নেতা কানু সান্যালের গ্রামের বাসিন্দারা জলকষ্টে ভুগছিলেন। এমনকী সেই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় মামলা করেছিলেন গ্রামবাসীরা। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে এই মামলা শুনতে নিজের আসন ছেড়ে নীচে নেমে এসেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুনেছিলেন গরিব মানুষের জলযন্ত্রণার কথা। তাই জল প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন। আর তখনই ফাঁস হয়ে গেল আসল ঘটনা। যা গ্রামবাসীরা জানতেন না। বিজেপি সাংসদ এই গ্রাম দত্তক নিয়েছিলেন। অথচ কোনও কাজ করেননি। এবার মানুষের সমস্যা মেটাতে হাত লাগালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত সমস্যা মিটবে বলেও জানালেন।

আজ, বুধবার একসপ্তাহের জন্য উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে এগোতেই এই গ্রামের জল সমস্যার কথা কানে আসে মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁকে বিষয়টি জানান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। আর তখনই মুখ্যমন্ত্রী তৎপরতার সঙ্গে গ্রামের জলের কাজ সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন তিনি। যতদিন না এই জলের কাজ শেষ হচ্ছে ততদিন শিলিগুড়ি পুরনিগমের পক্ষ থেকে জলের ট্যাংকের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন গৌতম দেবকে। আর তাতেই এখন খুশির হাওয়া কানু সান্যালের গ্রামের মানুষজনের।

এদিকে নকশাল নেতা কানু সান্যালের এই গ্রামের নাম সেবদোল্লাজোত। এখানেই জল সমস্যায় পড়তে হয়েছিল মানুষজনকে। অভিযোগ, এই পরিস্থিতি নিয়ে মামলা হলে শুনানির দিন জল আসত আর শুনানির পর থেকে আর কলে জল পড়ত না। এই কথা শুনেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাই বুধবার বিচারপতি এজলাসে ডেকে পাঠান সরকারি অফিসার ও পিএইচ দফতরের ঠিকাদারকে। জানুয়ারি মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ করে জল না পৌঁছলে কড়া ব্যবস্থা নেবেন বলেই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌কলকাতা শ্বাস নিতে পারছে না’‌, জলাভূমি ভরাট নিয়ে কড়া মন্তব্য বিচারপতি অমৃতা সিনহার

অন্যদিকে এখানে সরকারি দফতরের কোনও দোষ ছিল না। আর সেটাই শিলিগুড়িতে নেমে খুঁজে বের করলেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা ঘটনায় বিজেপি সাংসদ দায়ী সেটা জানিয়ে দিলেন। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌আমি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ কাজটি করছে। একটু সময় লাগবে। তবে কাজ হয়ে যাবে। ততদিন জলের ট্যাংক পাঠিয়ে দেওয়া হবে। গ্রামটি প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়া দত্তক নিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কাজ করেননি। এখন পিএইচই সেখানে জল দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছে।’‌