Firhad Hakim: রাজনীতি করি, চাকরি করি না যে অবসর নিতে হবে: ফিরহাদ

রাজনীতিতে অবসরের বয়স থাকা উচিত। তৃণমূলের অন্দরের এই কোন্দলে ঘৃতাহুতি দিলেন রাজ্যর মন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম আস্থাভাজন ফিরহাদ হাকিম। বুধবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বয়স নয়, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতাই শেষ কথা হওয়া উচিত।’

রাজনীতিতে অবসরের বয়স থাকা উচিত বলে কয়েকদিন ধরেই সরব হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠরা। সোমবার এই নিয়ে মুখ খোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। তিনি বলেন, ‘যে কোনও জায়গায় আমি মনে করি উর্ধ্বসীমা থাকা দরকার। যে পরিশ্রম একজন পঞ্চাশ বছরের মানুষ বা চল্লিশ বছরের মানুষ করতে পারেন সেটা কোনও দিন বয়স বেড়ে গেলে করতে পারব না। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কুণাল ঘোষ বলতে পারেন। তবে প্রবীণদেরও অত্যন্ত প্রয়োজন। তাঁদের অভিজ্ঞতা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে লোকসভা নির্বাচনে প্রবীণরা টিকিট পাবেন কি না তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ঠিক করবেন বলে জানান অভিষেক। তিনি বলেন, নেত্রী আমার কাছে এব্যাপারে পরামর্শ চাইলে আমি তাঁকে জানাব।’

অভিষেক মুখ খোলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বয়স নয়, রাজনীতিতে মানুষের কাছে কারও গ্রহণযোগ্যতাই শেষ কথা হওয়া উচিত। রাজনীতিতে সব বয়সী মানুষেরই দরকার। মিছিল করার জন্য যেমন তরুণদের দরকার তেমন রণকৌশল ঠিক করতে অভিজ্ঞ প্রবীণদের প্রয়োজন। এটা ঠিক আমি এখন সারাদিন দৌড়াতে পারব না। একজন কাউন্সিলরকে সারা দিন যেমন দৌড়াতে হয় একজন সাংসদকে তো তা হয় না। তিনি সংসদে রাজ্যের দাবি তুলে ধরেন। ফলে প্রবীণদের প্রয়োজন নেই, এটা মানি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতি আর চাকরি দুটো আলাদা। চাকরিতে কেউ গুলি, লাঠি খেতে যায় না। রাজনীতিতে গুলি, লাঠি খেতে হয়। রাজনীতি করে মানুষ স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে। তাই রাজনীতিতে অবসর বলে কিছু হয় না। মানুষের কাছে যতদিন গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে ততদিন সে রাজনীতিবিদ।’

তিনি বলেন, ‘আমি চাই মমতা দি আরও ২০ – ৩০ বছর সুস্থ থাকুন। আর মমতাদির গ্রহণযোগ্যতা আছে বলেই আমাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে। মমতাদি আছেন বলেই আমরা আছি, দল আছে। আর আমি মমতাদির সঙ্গে মৃত্যু পর্যন্ত আছি।’