Memari college: উৎসবে জন্য টাকা দাবি, মেমারি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ‘চোর’ লেখা পোস্টার

ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। মেমারি উৎসবকে কেন্দ্র করে পুরসভার কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি আরও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ‘প্রিন্সিপাল চোর’ এমন পোস্টারে ছেয়ে গেল মেমারি। আরও অভিযোগ, দেবাশিস চক্রবর্তী নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ।

আরও পড়ুন: বিএড কলেজে দুর্নীতিতেও পার্থর বিরুদ্ধে CBI তদন্ত? জনস্বার্থ মামলা হাই কোর্টে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারির দুটো উৎসব সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি হল বইমেলা এবং অপরটি হল মেমারি উৎসব। এই মেমারি উৎসবের জন্যই কলেজের মাঠ চেয়েছিল পুরসভা। কিন্তু, অধ্যক্ষ পুরসভার কাছ থেকে এরজন্য দেড় লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন বলে অভিযোগ। তবে এই প্রথম নয়, গতবারও পুরসভার কাছ থেকে তিনি ৬০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। আজ বুধবার মেমারির বিভিন্ন জায়গায় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ সহ একাধিক অভিযোগে দেবাশিসের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। পোস্টারের একেবারে নিচে লেখা ‘মেমারিবাসী।’ পোস্টারে আরও লেখা, প্রিন্সিপাল দেবাশিস চক্রবর্তী নাকি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ। তার কারণে দেবাশিস চক্রবর্তীর মেয়ে ও জামাইকে স্বাস্থ্য দফতরের চাকরি দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে ওই পোস্টারে। পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেমারি এলাকায়।

জানা গিয়েছে, প্রতিবছর এই উৎসব মেমারি পুরসভার পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়। এর জন্য কলেজের মাঠটিকে ব্যবহার করা হয়। গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন মেমারি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত। তিনি বলেন, ‘গতবারও হেনস্থা করা হয়েছিল এবং ৬০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল। এবছর আবার দেড় লক্ষ টাকা দাবি করা হচ্ছে।’ তিনি আরও দাবি করেছেন, মেমারি কলেজের মাঠ পুরসভার অধীনে রয়েছে। সুতরাং ওই মাঠটি পুরসভার অধীনে থাকা সত্ত্বেও একজন অধ্যক্ষ হয়ে তিনি কীভাবে টাকা দাবি করতে পারেন? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এর পাশাপাশি তিনি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘অধ্যক্ষ তৃণমূল পরিচালিত মেমারি পুরসভাকে অপদস্ত করার চক্রান্ত করছেন। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিধায়কের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।’ যদিও পুরো ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ।