MGNREGA Scheme: ভুয়ো জবকার্ডে এগিয়ে যোগী-শাহের রাজ্য, তথ্য দিলেন খোদ নিরঞ্জন জ্যোতি

ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগ একশো দিনের কাজের বরাদ্দ আটকে রেখেছে কেন্দ্র। অভিযোগ, ভুয়ো জব কার্ড বানিয়ে কাজের টাকা নেওয়া হয়েছে। অথচ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পরিসংখ্যান বলছে, ভুয়ো জব কার্ডের সংখ্যার নিরিখে বাংলার তুলনায় অনেক এগিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশ। 

এই নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)। তাঁর প্রশ্নের জবাব দেন কেন্দ্রীয় গ্রমোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি। তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান কোন রাজ্যে কত ভুয়ো জব কার্ড রয়েছে। 

সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে গত দুই আর্থিক বছরে ভুয়ো জব কার্ডের সংখ্যা ৫,৬৫১। যোগী-রাজ্যে ভুয়ো জবকার্ডের সংখ্যা ৩,৬৪,৪০১।  মধ্যপ্রদেশে গত দু’টি আর্থিক বছরে ধরা পড়া ভুয়ো জবকার্ডের সংখ্যা হল ১,২৩,০৬৮।  অসমে ১১,১৪৪টি ভুয়ো জব কার্ড ধরা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাটেও ৬২০৮টি ভুয়ো জবকার্ড ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী। 

এই পরিসংখ্যান দেওয়ার সময়ই নিরঞ্জন জ্যোতি বলেন, ভুয়ো জব কার্ড বাতিল করা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। রাজ্যগুলি সেই কাজ করছে। ভুয়ো জব কার্ড রুখতে আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

গ্রমোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রকে নিশানা করেছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, ভুয়ো জব কার্ড বাতিল যদি ধারাবহিক প্রক্রিয়া হয়, তবে কেন রাজ্যের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। যিনি এই প্রশ্ন করেছিলেন, সেই তৃণমূল সাংসদ দেব একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখাকে রাজনৈতির উদ্দেশপ্রণোদিত বলেই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, 

‘বাস্তব তথ্যকে চেপে রেখে শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে গোটা দেশের মানুষের সামনে বাংলাকে ছোট করার এই ঘৃণ্য চক্রান্ত মেনে নেওয়া যায় না।’

অন্য দিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্য, ‘অবিলম্বে বাংলার বিরুদ্ধে কুৎসা বন্ধ হোক।’ তৃণমূল সূত্রে খবর, এই পরিসংখ্যান নিয়েই আগামী দিনের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রচারের যাবে তারা। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই পরিসংখ্যাই হাতিয়ার হবে ঘাসফুল শিবিরের। 

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির কাছে গিয়েই মাস খানেক আগে বকেয়া টাকা চাইতে দেখা করতে গিয়েছিল তৃণমূল। সময় দিয়েও মন্ত্রী দেখা করেননি বলে অভিযোগ। যদিও তিনি মন্ত্রীর দাবি ওই দিন তাঁর অফিসেই ছিলেন। পরে কলকাতায় এসে সাংবাদিক সম্মলনও করেছিলেন।  এক তৃণমূল নেতার কথায়, পরিসংখ্যান চাইলে এই সব তথ্যই দিতে হতো মন্ত্রীকে তাই তিনি সাক্ষাৎ এড়িয়েছেন।