MLA Asit Majumder: স্বাস্থ্যকর্মীকে হেনস্থার দায়ে যুবককে কান ধরে ওঠবোস করালেন তৃণমূল বিধায়ক!

এক যুবককে কান ধরে ওঠবোস করানোর অভিযোগ উঠল চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্যকর্মীকে হেনস্থার কারণে বিধায়ক ওই যুবককে কান ধরিয়ে ওঠ বোস করান বলে অভিযোগ। এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তারপরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। যদিও ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন বিধায়ক এবং তিনি দাবি করেছেন, এতে তিনি ভুল কিছু করেনি। এনিয়ে বিধায়ককে আক্রমণ করেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: অসিত মজুমদারের পা টিপছেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, তৃণমূল বিধায়কের ছবি ভাইরাল

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে। বিধানসভা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি দিল্লি রোড হয়ে ব্যান্ডেলে ফিরছিলেন। সেই সময় তার চোখে পড়ে কাজিডাঙার কাছে পোলবা হাসপাতালে কয়েকজন মিলে একজনকে হেনস্থা করছে। এরপর তিনি জানতে পারেন আসলে ওই যুবকরা একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে হেনস্থা করছেন। এর পরে গাড়ি দাঁড় করিয়ে তিনি নেমে পড়েন। এভাবে স্বাস্থ্যকর্মীরকে হেনস্থা করতে দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ হন বিধায়ক। ঘটনায় যারা হেনস্থা করছিল তারা পালিয়ে গেলেও একজন অভিযুক্ত সেখানে ছিল। তখন সেই যুবককে পেয়ে বিধায়ক তাকে বকাবকি করেন এবং কান ধরে ওঠবোস করান। অনেকেই সেই ঘটনার দৃশ্য ভিডিয়ো রেকর্ড করেন। পরে তার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। এরপর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি।

ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বের বক্তব্য, যুবক সত্যি সত্যিই অপরাধ করে থাকলে বিধায়কের উচিত ছিল পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া। তিনি এভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে সঠিক কাজ করেননি। অন্যদিকে, এর জবাবও দিয়েছেন বিধায়ক। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজেই পোলবা ও মগড়া হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। তিনি সেখানে যাওয়ার পরে অভিযুক্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে এক যুবককে তিনি পুলিশকে দিয়ে ধরিয়ে দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন। তবে তার বাবা-মা এসে তার কাছে পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছিলেন। সেই কারণেই তিনি যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেননি। তার পরিবর্তে ভুলের জন্য কান ধরে ওঠ বস করিয়েছেন মাত্র। বিধায়কের বক্তব্য, কেউ তাঁর সামনে আইন নিজের হাতে তুলে নিলে তিনি নিজেই পদক্ষেপ করবেন। তিনি যা করেছেন আবারও করবেন। এদিকে, এই ঘটনার পর আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মী থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য কর্মীর অভিযোগ, তিন যুবক তাকে হেনস্থা করছিল। তাকে মারধর করতে যাচ্ছিল সেই সময় বিধায়ক চলে আসেন।