Seizure of Electronic Devices: ‘এত দেরি কেন?’ফোন-ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশিকা তৈরি নিয়ে কেন্দ্রকে ধমক SC-র

তদন্তের সময় ফোন, ল্যাপটপের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই বিষয়টি নিয়ে একটি গাইডলাইন তৈরির জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করছে কেন্দ্র। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এই তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল। এর আগে গত ৭ নভেম্বর শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, তদন্তের সময় কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে স্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করতে। কারণ আদালত মনে করে সাংবাদিকদের কাছ ইলেকট্রনিক ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টি গুরুতর। 

বুধবার আদালতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) এস ভি রাজু বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউলের একটি বেঞ্চকে বলেন, ‘ এই নিয়ে আমাদের একটি নির্দেশিকা তৈরি করতে বলা হয়েছিল। আমরা একটি কমিটি তৈরি করেছি। খুব শীঘ্রই নির্দেশিকা আনব।’ তিনি আদালতের কাছে এই নির্দেশিকা তৈরির জন্য কিছুটা সময় চান। 

শীর্ষ আদালতে এদিন দুটি পিটিশনের শুনানি হচ্ছিল। যার মধ্যে একটি ‘ফাউন্ডেশন ফর মিডিয়া প্রফেশনালস’ দায়ের করেছে। তারা তদন্তকারী সংস্থাগুলির দ্বারা ডিজিটাল ডিভাইসগুলি অনুসন্ধান এবং বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দাবি করে। 

শুনানির সময়, প্রবীণ আইনজীবী নিত্য রামকৃষ্ণান, আবেদনকারীদের পক্ষে হাজির হয়ে এই নির্দেশিকা আনতে কেন্দ্রের দেরির বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করেন।

বিচারপতি কাউল অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের কাছে জানতে চান, ‘মিস্টার রাজু, সমস্যা কী? এই সময়সীমার কিছু একটা হওয়া উচিত ছিল।’ এর উত্তরে এসএসজি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ইতিবাচক রয়েছে, কিছু নির্দেশিকা কমিটির মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে আসবে।’

বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণ বলে, পিটিশনের ভিত্তিতে নোটিশ জারি হওয়ার পর দুই বছর কেটে গেছে। তখনও এএসজি জানিয়েছিলেন, ‘আমরা ইতিবাচক যাচ্ছি। এ নিয়ে আবেদনকারীদের পরামর্শ চাইছি।’

বেঞ্চ বলে যে আবেদনকারীরা ইতিমধ্যেই তাঁদের পরামর্শ দিয়েছেন, ‘আপনি কখন নির্দেশিকা নিয়ে আসবেন?’ রাজু বেঞ্চকে বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে কিছু নিয়ে ফিরে আসব’।

এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ ডিসেম্বর। 

এই প্রবীণ আইনজীবী রামকৃষ্ণান বলেন, ‘আমি উদ্বিগ্ন যে এটি সেদিন তালিকা থেকে মুছে ফেলা হবে না তো।’ বিচারপতি কাউল বলেন, ‘এটাও আমি গ্যারান্টি দিতে পারি না।’

রামকৃষ্ণান বলেন, নিউজক্লিক মামলার পর প্রায় ৯০ জন সাংবাদিকের কাছ থেকে ৩০০ টি ডিভাইস বাজেয়াপ্ত  করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা কাজ করতে পারে না কারণ তাদের ডিভাইস নেই। এটি পুরোপুরি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতার উপর আক্রমণ এবং সেই আক্রমণ তারা চালিয়ে যেতে চায়। সেজন্য তারা একে সীমাহীনভাবে দেরি করাচ্ছে।’