‘ইন্ডিয়া’ জোটের আগামী বৈঠকে নির্বাচনী ইস্তেহার নিয়ে সিদ্ধান্ত, থাকবেন মমতা

আগামী ১৭ ডিসেম্বর পরবর্তী বৈঠক হতে চলেছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বৈঠকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ এই বৈঠকে জোটের যৌথ বিবরণী এবং নির্বাচনী ইস্তেহার চূড়ান্ত করবেন নেতৃত্ব। এছাড়া আসন বন্টন নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার পাশাপাশি জোটের আগামী রূপরেখা তৈরি করা হবে।

আরও পড়ুন: মমতারা মুখ ফেরাতেই পিছোল INDIA-র বৈঠক! ‘সবে তো ভাঙন শুরু’, মুচকি হাসি NDA-র

এর আগে গতকাল বুধবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও অনেক শীর্ষ নেতারাই সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানান। এরপর বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এই অবস্থায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছেন। আজ তেলেঙ্গানায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে রেভান্থ রেড্ডির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বেশিরভাগ দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে ফোন করেছিলেন। কিন্তু যেহেতু তিনি উত্তরবঙ্গে ভাইপোর বিয়ের অনুষ্ঠানে রয়েছেন মমতা তাই তিনি সেখানে যাবেন না। তবে তাঁর হয়ে হায়দরাবাদে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে নিযুক্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, বৈঠক পিছিয়ে যাওয়ার পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বুধবার সন্ধ্যায় বিরোধী দলের নেতাদের জন্য তাঁর বাসভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে বিরোধী দলের সংসদীয় নেতাদের আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তবে তৃণমূল সাংসদরা যোগ দেননি। এপ্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমরা খাড়গে জি’র ঘরে সকাল ১০ টায় বৈঠক করতে অভ্যস্ত। কিন্তু আচমকা সন্ধ্যায় আমন্ত্রণ করলে যেতে পারব না।’ 

তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, ইন্ডিয়া জোট প্রথম দিকে যে গতিতে এগোচ্ছিল গত কয়েক মাসে নিষ্ক্রিয়তার কারণে সেই গতি হ্রাস পেয়েছে। সুদীপ বন্দোপাধ্যায় সাফল্যের জন্য তিনটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা বলেছেন। তিনি জানান, সিট-বন্টন সংক্রান্ত আলোচনা দ্রুত সেরে ফেলতে হবে, অভিন্ন ঘোষণাপত্র ও ইস্তেহার চূড়ান্ত করতে হবে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় কার্যকর আসন ভাগাভাগির মাধ্যমে বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।  সেক্ষেত্রে আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে নিজ নিজ অঞ্চলে শক্তিশালী দলকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন।