ফাঁকা বাড়িতে তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ, বারাসতে গ্রেফতার বিজেপি নেতা

তরুণীকে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। আজ, বৃহস্পতিবার এই অভিযোগে ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল বারাসত থানার পুলিশ। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বারাসত জুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ফাঁকা বাড়িতে তরুণীকে ডেকেছিল ওই বিজেপি নেতা বলে অভিযোগ। সেখানে গল্প করবেন বলে তাঁকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু ফাঁকা বাড়িতে যেতেই ওই বিজেপি নেতা দরজা বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। তারপর ঘরে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

এদিকে পুলিশ সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়া ওই বিজেপি নেতার নাম প্রীতম রায় (৩২)। বারাসত পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পাইওনিয়ার এলাকার বাসিন্দা। প্রীতম বিজেপির ওয়ার্ড সভাপতি হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। আর আজ তাঁর গ্রেফতারের খবর প্রকাশ্যে ছড়াতেই কড়া নিন্দা ছড়িয়ে পড়েছে। ওই বিজেপি নেতাকে এখন অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে। তরুণীর বয়ানের উপর ভিত্তি করেই এই গ্রেফতার করা হয়েছে। এই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় ছিল ধৃত বিজেপি নেতার। সেই সুযোগেই ফাঁকা বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করে।

অন্যদিকে সূত্রের খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই তরুণীর সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় বিজেপি নেতার। তারপর সেই পরিচয় একদিন তরুণীর সঙ্গে আলাপে পরিণত হয়। পরে দু’‌জন দেখাও করেছিলেন। এইভাবে তরুণীর বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেন প্রীতম রায়। এমনকী তাঁদের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু ফাঁকা বাড়িতে ডেকে প্রীতম ধর্ষণ করতে পারে সেটা ভাবতে পারেননি তরুণী। বাড়িতে কেউ না থাকায় তরুণীকে ডেকে পাঠায় প্রীতম। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে নির্যাতিতা বারাসত থানায় গোটা ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করলে প্রীতমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌আমি সশরীরে আদালতে আসতে চাই’‌, ভার্চুয়াল শুনানিতে বিচারককে আবেদন পার্থর

তাছাড়া এই ঘটনা নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। এই ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর দেবব্রত পাল বলেন, ‘‌প্রীতম সক্রিয়ভাবে বিজেপি করে। নিজেকে বিজেপির ওয়ার্ড সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিত সবাইকে। ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে বলে শুনেছি। আসলে বিজেপির নেতা–কর্মীরা মহিলাদের যে সম্মান দেয় না, এই ঘটনা আরও একবার তা প্রমাণ করল। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি।’‌ পাল্টা বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস মিত্র বলেছেন, ‘‌প্রীতম রায় নামে কোনও বিজেপি নেতাকে আমি চিনি না।’‌ নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। আজই বারাসত আদালতে তাঁর গোপন জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।