ভিডিয়ো- উত্তর কোরিয়ায় জন্মহার কমছে, কেঁদে ভাসালেন কিম জিং উন

কিম জং উন-কে প্রথম দেখায় মনে হতেই ভীষণ সরল। দেখতে গোলগাল। কিন্তু হলে হবে কী! শুধু আজব নয়, ভয়ানক সব কাণ্ড ঘটাতে পারেন তিনি ! তাঁকে সাক্ষাৎ ত্রাস বললেও হয়তো অনেকে সহমত হবেন। এঁর ভয়েই কাঁটা হয়ে থাকেন সারা উত্তর কোরিয়ার মানুষ। কারণ আর কিছুই নয়। এঁর কোপের শিকার হলে নিজেকে বাঁচানো মুশকিল। যেকোনও মুহূর্তে নজরবন্দি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এমনকী জেলও হতে পারে। আর একবার জেলে গেলে ফিরে আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই। এই ভয় দিয়েই দেশ শাসন করছেন কিম। এবার তার চোখেই শেষ পর্যন্ত জল দেখা গেল!

(আরও পড়ুন: রূপান্তরকামীদের জন্য প্রথম পৃথক ওয়ার্ড শুরু এই বেসরকারি হাসপাতালে! কী কী সুবিধা)

উত্তর কোরিয়ার একনায়কের এই কান্নার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। প্রকাশ্যেই একটি সভায় কাঁদতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। হাজার হাজার মহিলা দর্শকের মাঝে বসে বারবার চোখ ঝাপসা হতে দেখা গেল তাঁর। চোখ বেয়ে গড়িয়েই চলেছে জল। মাথা হেঁট করে একসময় তাঁকে কান্না সামলাতে দেখা গেল। যাতে কেউ বুঝতে না পারে। দেখা যায়, গালে হাত বুলোনোর ঢঙে চোখের জল মুছে নিচ্ছেন। একটা সময়ের পর অবশ্য বাঁধ মানেনি কান্না। রুমালের সাহায্য নিয়ে চোখ মুছতে দেখা যায় উত্তর কোরিয়ার একনায়ক। এই দৃশ্যের ভিডিয়োই ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু কেন কান্নাকাটি করছেন কিম?

(আরও পড়ুন: শীত পড়তেই চুটিয়ে কড়াইশুঁটি খাচ্ছেন? কারা বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?)

এই দিন কোরিয়ান সেন্ট্রাল টেলিভিশন জানিয়েছে, শিশুদের জন্মহার দ্রুত কমছে উত্তর কোরিয়ায়। তাই একটি বিশেষ সভা ডাকেন সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর কোরিয়ার মায়েদের নিয়ে ডাকা ওই বৈঠকেই। সেই দেশের জন্মের হার কমতে কমতে ইদানীং তলানিতে এসে ঠেকেছে। সে ব্যাপারেই দেশের মায়েদের সাহায্য চেয়েছেন কিম।

তাদের কাছে আরও সন্তান প্রসবের আর্জি জানিয়ে বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার মায়েদের কিম বলেন, দেশের জন্মের হার বৃদ্ধির স্বার্থে মায়েদের সাহায্যের দরকার আমাদের। শুধু তা-ই নয় দেশের জাতীয় শক্তিকে মায়েরাই শক্তিশালী করতে পারে বলে জানান তিনি। তিনি এই দিন ধন্যবাদ জানান তাঁদের। একই সঙ্গে এও বলেন, তিনি যখন কোনও সমস্যায় পড়েন, তখন তাঁরও প্রথমে তাঁর মায়ের কথাই মনে পড়ে। প্রসঙ্গত, গত এক বছরের হিসাব বলছে, উত্তর কোরিয়ায় জন্মের হার বর্তমানে ১.৮ শতাংশে এসে ঠেকেছে। সে দেশে এখন মোট জনসংখ্যা দু’কোটি ৫০ লক্ষ। এদিকে দীর্ঘ দিন এই দেশ খাদ্যাভাবের সমস্যার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে।