সই করার নির্দেশই সার, বিধানসভা কক্ষে গরহাজির মন্ত্রীদের জেরে মুখ পুড়ল তৃণমূলের

হাজিরা খাতায় সই করানোই সার। মন্ত্রী – বিধায়কদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় বিধানসভায় ফের একবার মুখ পুড়ল শাসকদল তৃণমূলের। পরিস্থিতি এমন দাঁড়াল যে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিধায়কদের আপত্তি মেনে নিতে বাধ্য হলেন। তবে তাতে বিধানসভায় ভোটাভুটিতে তৃণমূলের জয় রুখতে পারেনি বিজেপি।

২ দিন আলোচনার পর বুধবার রাজ্য বিধানসভায় ভারতীয় ন্যায়সংহিতার বিরোধিতায় পেশ করা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। ভোটাভুটি দাবি করে বিজেপি। বিধানসভায় ভোটাভুটির নিয়ম মেনে স্পিকার ঘণ্টা বাজিয়ে বিধানসভার কর্মীদের কক্ষের দরজা বন্দ করে দিতে বলেন। এদিনও নিয়ম মেনে ঘণ্টা বাজানোর পর বন্ধ হয়ে যায় কক্ষের দরজা। তার পর শুরু হয় ভোটাভুটির স্লিপ বিতরণ। সেই পর্ব যখন শেষের মুখে তখন বিধানসভা কক্ষে প্রবেশ করেন ৪ মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন ও সুজিত বসু। সঙ্গে ঢোকের প্রাক্তন মন্ত্রী নির্মল মাঝি।

তাঁদের দেখেই শোরগোল জুড়ে দেন বিজেপি বিধায়করা। দাবি তোলেন, পরে যারা কক্ষে প্রবেশ করেছেন তাঁদের ভোট দিতে দেওয়া চলবে না। এই নিয়ে শোরগোল চালাকালীন বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক ওয়াক আউট করেন। তখন স্পিকার বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গাকে বলেন, যারা পরে ঢুকেছেন তারা ভোট দেবেন না। আপনি দয়া করে যারা ওয়াক আউট করেছেন তাদের ডেকে নিয়ে আসুন। স্পিকারের নির্দেশ শুনে বিজেপি বিধায়করা কক্ষে ফেরেন। এর পর হয় ভোটাভুটি তাতে ১০১ – ৪২ ভোটে পাশ হয় প্রস্তাব।

বিধানসভার চলতি অধিবেশন থেকে মন্ত্রী – বিধায়কদের হাজিরা খাতায় সই করা বাধ্যতামূলক করেছে তৃণমূল। প্রশ্ন উঠছে, তাঁরা যদি কক্ষেই না থাকেন তাহলে সই করে লাভটা হচ্ছে কী?