Abhishek Banerjee:সরকারে কি ভরসা নেই? ডায়মন্ড হারবারে বার্ধক্যভাতা দিতে নিজেই মাঠে নামলেন অভিষেক

লোকসভা ভোটের বাকি আর মাস কয়েক। তার ওপরে ডায়মন্ড হারবার থেকে লড়াই করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন খোদ ISF বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগের প্রস্তুতিতে কোনও ঘাটতি রাখতে চান না ডায়মন্ড হারবারের বিদায়ী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নিজের দলের সরকারের ওপর ভরসা না রেখে এবার নিজের লোকসভায় বার্ধক্যভাতা থেকে বঞ্চিত ৭০ হাজার মানুষের সহযোগিতায় তৎপর হলেন তিনি। স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে শুরু করলেন সবার কাছে বার্ধক্যভাতা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ।

জানা গিয়েছে, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ডায়মন্ড হারবারে বার্ধক্যভাতা থেকে বঞ্চিত ৭০ হাজার মানুষের কাছে বার্ধক্যভাতা পৌঁছে দিতে চান অভিষেক। সেজন্য বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছে তিনি। লোকসভা কেন্দ্রে ২০৩টি শিবির করবেন তাঁরা। সেই শিবিরে গ্রহণ করা হবে বার্ধক্যভাতার আবেদন। কেউ শিবির পর্যন্ত পৌঁছতে না পারলে তাঁকে বাড়ি গিয়ে কাগজে সই করাবেন স্বেচ্ছাসেবকরা। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রত্যেককে ভাতা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন অভিষেক। কেউ না পেলে তাঁকে আর্থিক সাহায্য করবেন তিনি।

এর আগে রাজ্যের বঞ্চনার অভিযোগে দিল্লির ধরনায় তাঁর সঙ্গে ১০০ দিনের কাজের যে শ্রমিকরা যোগদান করেছিলেন তাঁদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়েছিলেন অভিষেক। সেই কায়দায় এবার বার্ধক্যভাতা দিতে চলেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।

অভিষেকের এই পদক্ষেপে প্রশ্ন উঠছে, যোগ্য হলেও কেন এতদিন বার্ধক্যভাতা থেকে বঞ্চিত রইলেন ডায়মন্ড হারবারের ৭০ হাজার বৃদ্ধ – বৃদ্ধা? ভাতা পৌঁছে দিতে কি তৃণমূল সরকারের পরিকাঠামোয় আস্থা নেই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের? না কি ব্যক্তিপ্রচারের জন্য সরকারি পরিকাঠামোকে ব্যবহার করছেন তিনি? এতদিন ভাতা আটকে রেখে ভোটের আগে মসিহা সাজার চেষ্টা করছেন তিনি?