Suvendu Adhikari: ধান বিক্রি নিয়ে বিক্ষোভে কৃষকদের মারধর, পুলিশের বিরুদ্ধে সরব শুভেন্দু

গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কিষান মান্ডিতে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছিল। সেক্ষেত্রে কৃষকদের ধান বিক্রির জন্য প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে। পাশাপাশি ওজনে কারচুপিরও অভিযোগ সামনে এসেছে। এরই প্রতিবাদে হুগলির গৌঘাটের কিষান মান্ডিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলেন কৃষকরা। কিন্তু সেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কৃষকদের গালিগালাজ এবং মারধর করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সরব হতে দেখা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এই ঘটনায় তিনি পুলিশের নিন্দা করার পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন।

আরও পড়ুন: ধান ক্রয় কেন্দ্রে ফড়েদের বাড়বাড়ন্ত, খোলা বাজারেই বিক্রি করছেন চাষিরা

শুভেন্দুর দাবি, হুগলি জেলার গোঘাটের কিষাণ মান্ডিতে নির্দিষ্ট দিনে কৃষকদের ধান আনতে বলা হয়েছিল। সেইমতোই সেখানে তারা ধান নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, মিল মালিকরা তাদের বলেছিল যে প্রতি কুইন্টালে ৫–১০ কেজি ধান ধলতা দিলে তবেই তারা তারা ধান সংগ্রহ করবে। তাতে রাজি না হওয়ায় কৃষকরা ধান ক্রয় কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কৃষকরা জানান, তারা ইতিমধ্যে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছেছেন তাই তাদের পক্ষে ধান ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ সেক্ষেত্রে তাদের আর্থিক ক্ষতি হবে। ধান ক্রয় কর্মকর্তা তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনি সেখানে গিয়ে সমস্যার সমাধান করবেন। কিন্তু ৩–৪ ঘণ্টা পরেও সেখানে এসে পৌঁছননি ওই আধিকারিক। শেষে ক্ষুব্ধ হয়ে কৃষকরা সেখানে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করেন।

এই আন্দোলনের খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় স্থানীয় গোঘাট থানার পুলিশ। অভিযোগ তাদের সেই শান্তিপূর্ণভাবে চলা আন্দোলনে থানার অফিসার ইনচার্জ অরূপ কুমার মণ্ডল উপস্থিত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত কৃষকদের গালিগালাজ করেন এবং তাদের মারধর করেন। এই অবস্থায় মিল মালিকদের সঙ্গে প্রশাসনের যোগসাজেশ রয়েছে বলেই অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবিষয়ে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘কৃষকদের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে দেবে না মমতার পুলিশ। এটিই হল কৃষক বান্ধব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আসল চেহারা।’ এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের সঙ্গে তুলনা করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারকে কৃষক বিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। অথচ কেন্দ্রে হাজার হাজার কৃষককে কয়েক মাস ধরে দিল্লির সিংঘু সীমান্ত অবরোধ করে আন্দোলনে বসতে দিয়েছিল। আর সেই মমতার রাজ্যে কৃষককদের আন্দোলনের জন্য মারধর করা হচ্ছে।’ এই ঘটনায় অভিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ অরূপ মণ্ডলকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু।