Nirmala Sitharaman: মূল্যবৃদ্ধি থেকে বেকারত্ব-জবাব দিলেন নির্মলা, এড়িয়ে গেলেন তিন প্রশ্ন

মোদী সরকারের ১০ বছরে কি জিডিপি  দ্বিগুণ হয়ে ২০০ লক্ষ কোটি টাকায় যাবে? প্রশ্ন করেছিলেন বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি এই প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আরও দুটি প্রশ্নের সরাসরি জবাব কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে পাননি বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। 

আসলে মোদী সরকারের সাফল্য নিয়ে বেশ ফলাও করে রাজ্যসভায় বলেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানে গত ৯ বছরে মোদী সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কতটা ভূমিকা নিয়েছে তারই বিবরণ দেন তিনি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৬ শতাংশতে ছুঁয়েছে। এটা গোটা বিশ্বে সর্বোচ্চ। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসের বিবরণ তিনি হাজির করেন। তিনি জানিয়ে দেন, বিশ্বের তৃতীয় ও চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানি ও জাপানের জিডিপি যখন ক্রমেই সঙ্কুচিত হচ্ছে তখন ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়ছে। দাবি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর। 

সেই সঙ্গেই বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি ২০১৪ সালের সঙ্গে ২০২৩ সালের ভারতের অর্থনীতির তুলনা করেন। তাঁর মতে, ২০১৪ সালে ভারত দশম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ছিল। এখন সেটা রয়েছে পঞ্চম স্থানে। 

তবে অপুষ্টি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সরসারি জবাব দেননি বলে দাবি বিরোধীদের। তবে অপুষ্টি দূরীকরণে সরকার কী কী করেছে তা নিয়ে অবশ্য তিনি জানিয়েছেন। তবে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দাবি, কেন শিশুদের মধ্য়ে অপুষ্টির হার এত বেশি, কেন গৃহস্থের আর্থিক সম্পদের হার সব রেকর্ড ভেঙে ৫.১ শতাংশে নেমে গিয়েছে তা নিয়ে তিনি কিছু বলেননি।

তবে বিরোধীরা যাই বলুন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বিরোধীদের তোলা নানা প্রশ্নের জবাব একেবারে পরিসংখ্যান হাজির করে দিয়েছেন। বেকারত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে এই হার ছিল ১৭.৮ শতাংশ। এখন সেটাই নেমে এসেছে ১০ শতাংশে। তরুণদের মধ্য়ে বেকারত্বের হার ক্রমশ কমছে। রোজগারের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। 

তবে বিরোধীদের অন্য়তম বড় প্রশ্ন ছিল মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে। সেটা নিয়েও জবাব দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইউপিএ জমানায় মূল্যবৃদ্ধির গড় হার ছিল ৮.১ শতাংশ। শেষ পাঁচ বছরে তা ১০.৪ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে মোদী জমানার মূল্যবৃদ্ধির হার প্রসঙ্গে  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে মূল্যবৃদ্ধির হার ৫.৫ শতাংশেই থেকেছে।  তবে সেই সঙ্গেই তিনি স্বীকার করেছেন, ২০২২ সালে মূল্যবৃদ্ধির হার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নির্ধারিত সহনসীমা ছাড়িয়ে ৭.৮ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল।