একলাফে বৃদ্ধি পেল ডিমের দাম, চড়া দামে পকেটে চাপ মধ্যবিত্তের, শীত পড়তেই বাড়ল

মিগজাউম ঘূর্ণিঝড় সরাসরি বাংলায় আছড়ে পড়েনি। তবে পড়েছে তার প্রভাব। টানা দু’‌দিন তার জেরে ভিজেছে বাংলা। তাই শীত এখন অনুভূত হচ্ছে বাংলায়। শীতের পোশাক সবে বের করেছেন বাংলার মানুষজন। আর এই আবহে এবার টান পড়ল মধ্যবিত্তের পকেটে। কারণ শীত পড়ল কি পড়ল না, বেড়ে গেল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাবারের দাম। একলাফে বাড়ল ডিমের দাম। মানুষজন ভেবেছিলেন শীত পড়লে অন্তত ডিম খেতে পারবেন। সস্তা হবে। কিন্তু হল উলটো। উৎসবের মুখে আবার বাজারে বাড়ল ডিমের দাম। এখন চড়ছে চিকেনের দামও।

এদিকে গত দু’‌দিন আগে পর্যন্ত কলকাতার খুচরো বাজারে পোলট্রির ডিম বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৬ টাকায়। আজ, শনিবার সকাল থেকে তা বেড়ে সাড়ে ৭ টাকা হয়েছে। সুতরাং বাংলার মধ্যবিত্ত মানুষজনের পকেটে চাপ বাড়ল। এমনিতেই শাক–সবজির দাম আগুন। তার মধ্যে ডিমের দামও বেড়ে যাওয়ায় গোদের উপর বিষফোঁড়ার আকার নিল। এই আবহে ডিমের দাম বাড়ার অর্থ হল কেকের দামও বাড়বে। এই মাসেই রয়েছে ক্রিস্টমাস ডে। সেই সময় মানুষজন কেক কেনেন। কিন্তু পরিস্থিতি যা দাঁড়াল তাতে ডিম কিনতেও চাপে পড়লেন। কেক কিনতে গেলেও চাপে পড়বেন।

অন্যদিকে একজোড়া পোলট্রির ডিম কেনার খরচ মুহূর্তের মধ্যে বেড়েছে ২ টাকা। এই ডিমের দাম বাড়ার কারণ বড়দিনের কেকের জন্য। কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। একাধিক ছোট–বড় বেকারি আগাম বুক করে রেখেছে ডিমের চালান। সুতরাং সেখানে দিতেই হবে ডিম। এই কারণে বাজারে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য ডিম আসছেও কম। অথচ সামনে বড়দিন। তাই বনভোজন, পিকনিকের জন্য সকালে ডিম লাগবেই। তাই চাহিদাও তুঙ্গে উঠেছে। একদিকে জোগান কম অপরদিকে দাম চড়া। মানুষ কী করবেন?‌ বুঝতে পারছেন না। কলকাতায় এক পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭ টাকায়।

আরও পড়ুন:‌ দক্ষিণরায়ের দেখা মিলল সিকিমের ১১ হাজার ফুট উচ্চতায়, ট্র‌্যাপ ক্যামেরায় বিরল দৃশ্য

এছাড়া ব্যবসায়ীদের দাবি, রাজ্যের ডিম আসে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা থেকে। ওখানে ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়েছে। ওই দুই রাজ্যেই এখন কঠিন পরিস্থিতি। প্রবল শক্তি নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল মিগজাউম ঘূর্ণিঝড়। আর তার প্রভাব পড়েছে আমদানি রফতানিতেও। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পরিবহণ ব্যবস্থা সচল না থাকায় কমেছে জোগান। আর তার জেরে বেড়েছে ডিমের দাম। আর এতে পকেটে চাপ পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের। আবার চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকেনের দামও। গড়িয়াহাট বাজারে পরশু চিকেনের দাম ছিল কেজি প্রতি ১৮০। শুক্রবার হয় ১৯০ টাকা। আর আজ, শনিবার চিকেনের দাম ২০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। এই চড়া চিকেনের দামে ক্রেতারা পড়েছেন ফাঁপরে। কারণ ডবল সেঞ্চুরি করে কোনদিকে এগোবে সেটাই ভাবাচ্ছে।