দক্ষিণরায়ের দেখা মিলল সিকিমের ১১ হাজার ফুট উচ্চতায়, ট্র‌্যাপ ক্যামেরায় বিরল দৃশ্য

ট্র‌্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়ল বিরল দৃশ্য। ভারতে এই দৃশ্য প্রথম দেখা গেল বলে দাবি করছেন গবেষকরা। এবার দক্ষিণরায়ের দেখা মিলল সিকিমের ১১ হাজার ৯৪২ ফুট (৩ হাজার ৬৪০ মিটার) উচ্চতায়। এই দৃশ্য দেখার পরই অনেকের মনে একটা গানের লাইন ভেসে উঠল—‘‌তুমি যে এ ঘরে কে তা জানত’‌। তবে এটা ঘর নয়। পূর্ব সিকিমের প্যাঙ্গোলাখা অভয়ারণ্যে ক্যামেরা ট্র্যাপ অভিযানে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের হেঁটে যাওয়ার ছবি ধরা পড়েছে। বম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটির বিজ্ঞানী, গবেষক এবং ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্টদের ক্যামেরায় বাঘের উপস্থিতির ছবি ফ্রেমবন্দি হয়েছে।

এই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। কারণ বম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটি এই ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে। তাতেই গোটা ঘটনা মানুষের সামনে এসেছে। যা নিয়ে জোর কৌতূহল শুরু হয়েছে। এতদিন ভারতে বাঘের উপস্থিতির বিষয়ে ৩ হাজার ৬৩০ মিটার (১১ হাজার ৯০৯ ফুট) উচ্চতাই ছিল সর্বাধিক। এবার যেন সেটাই স্পর্শ করল দক্ষিণরায়। ২০১৮ সালে অরুণাচল প্রদেশের দিবাং উপত্যকায় বাঘ দেখা গিয়েছিল। তবে সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় বাঘ দেখা গিয়েছিল ভুটানে। যেটা বিশ্বরেকর্ড হয়ে রয়েছে। সেই উচ্চতা ছিল— ৪ হাজার ৪০০ মিটার (১৪ হাজার ৪৩৫ ফুট)। তবে এই ঘটনাও যে কম কিছু নয় তা মানুষের আলোচনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে।

এদিকে এই ছবি ধরা পড়েছিল চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে। এই বিষয়ে অতিরিক্ত পিসিসিএফ সিকিম বনাঞ্চলের সচিব প্রদীপ কুমার বলেন, ‘‌বাঘ আগেও দেখা গিয়েছিল প্যাঙ্গোলাখা অভয়ারণ্যে। কিন্তু এটা আমাদের কাছে একেবারে সরাসরি প্রমাণ ক্যামেরায় উঠে এসেছে।’‌ এবারই প্রথম নয়। আগেও প্যাঙ্গোলাখা অভয়ারণ্যে বাঘের উপস্থিতি ধরা পড়েছিল তুলনামূলকভাবে কম উচ্চতায়। এবার যে ছবি ধরা পড়েছে তা নিয়ে মানুষের কৌতূহল বেড়েছে। পর্যটকরা এখন এই এলাকায় এসে বিষয়টি জানতে চাইছেন। স্থানীয় মানুষজনকে বাঘের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছেন।

আরও পড়ুন:‌ শিয়ালদা শাখায় একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল থাকছে, উইকেন্ডে যাত্রীদের ভোগান্তি

অন্যদিকে সিকিম–বাংলা–ভুটানের ত্রয়ী সঙ্গমস্থলে প্যাঙ্গোলাখা অভয়ারণ্যে অবস্থিত। এখানে নানান ধরনের প্রাণী থাকে। তাদের যাতায়াত রয়েছে এই এলাকায়। তাই এই অভয়ারণ্যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের বসবাসও রয়েছে। সেটা যে এত উচ্চতায় দেখা যাবে সেটা অনেকেই ভাবতে পারেননি। তবে এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা। এই বিষয়ে বম্বে ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটির বিজ্ঞানী হিমাদ্রি শেখর মণ্ডল বলেন, ‘প্যাঙ্গোলাখা অভয়ারণ্যে এই ক্যামেরাগুলি লাগানো রয়েছে। এই নিয়ে গবেষণার জন্যই তা ইনস্টল করা হয়েছে।’‌