‘‌ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় অর্জুন সিং জড়িত’‌, সাংসদের বিরুদ্ধে মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের

বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এখন থেকেই সংগঠনের কাজে নেমে পড়েছে শাসক–বিরোধী দু’‌পক্ষই। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস জোরদার প্রচার শুরু করেছে। যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকার ইডি–সিবিআই লাগিয়ে বাংলার সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ করতে চাইছে তাই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জোরদার প্রচার করা শুরু হয়েছে। এই আবহে এবার ভাটপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনায় সাংসদ অর্জুন সিংকে নিশানা করে বসলেন জগদ্দলের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। আর তাতেই দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে গত ২১ নভেম্বর ভাটপাড়া পুরসভা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ভিকি যাদবকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায় গোটা ভাটপাড়ায়। তবে এই ঘটনার তিনদিনের মধ্যে দু’‌জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুতরাং পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে অ্যাকশন নেয়। কিন্তু তারপরও ভিন রাজ্যের ভাড়াটে খুনিরা অধরাই থেকে যায়। এখনও তাদের পাকড়াও করা যায়নি। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিডিকে তদন্ত ভার নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জগদ্দলে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় নিশানা করে বসলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে।

অন্যদিকে তারপর থেকেই ব্যারাকপুরে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘‌ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় মেঘনা জুটমিলের পুরনো লাইন থেকে বেরিয়ে খুনিরা খুন করে পুনরায় সেখানে ঢুকে যায়। তাই আমি বলেছি কোথাও না কোথাও সাংসদ বা তাঁর পরিবারের কেউ জড়িত রয়েছে। অর্জুন সিংয়ের পরিবারের সেই যুক্ত লোকের নাম পাপ্পু সিং। কেউ প্রভাব খাটাচ্ছে বলেই পুলিশ পিছিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পুলিশ এবার পিছবে না। কারণ পুলিশের কাছে গ্রেফতার করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ আছে। যে খুন করেছে তাকে জেল খাটতেই হবে।’‌ বিধায়ক বনাম সাংসদের আকচা–আকচি থাকলে লোকসভা নির্বাচনে এই আসনে প্রভাব পড়তে পারে।

আরও পড়ুন:‌ দু’‌কেজি ওজনের হাতির দাঁত–সহ গ্রেফতার তিন, শিলিগুড়িতে বন দফতরের সফল অপারেশন

ঠিক কী বলছেন সাংসদ?‌ এই ঘটনা নিয়ে চর্চা শুরু হতেই তা ব্যারাকপুরের সাংসদের কানে পৌঁছয়। সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ‘‌সময় হলেই উত্তর দেওয়া হবে।’‌ সেই সময় কবে হবে সেটা খোলসা করেননি। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের এই মন্তব্যে দলের অন্দরেই অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। অর্জুন সিং তৃণমূল কংগ্রেস থেকে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। তারপর সেখান থেকে আবার ফিরে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তখন থেকেই দূরত্ব তৈরি হয় বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে টিকিট পাবেন অর্জুন সিং। সেখানে এমন দ্বন্দ্ব প্রভাব ফেলতে পারে ভোটবাক্সে বলে মনে করা হচ্ছে।