Bratya Basu: নিয়োগকর্তা অন্য কেউ হলেও উপাচার্যরা সরকারের সঙ্গেই আছেন, দাবি ব্রাত্যর

মাসখানেক আগে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিবাদ চরমে উঠেছিল। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলা গড়িয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এনিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছেন। এমনকী অন্তর্বর্তী উপচার্যদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলেও মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে সেই দ্বন্দ্ব কাটিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের সঙ্গে দেখা করলেন ব্রাত্য বসু। আর তারপরে শিক্ষামন্ত্রী দাবি করলেন, অন্তবর্তী উপাচার্যরা রাজ্য সরকারের সঙ্গেই আছেন। 

আরও পড়ুন: ৭৮১ নয়, শূন্যপদের সংখ্যা ৪৫০০০, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিগবাজি ব্রাত্যর

শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই বৈঠকে মূলত সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়েই আলোচনা হয়েছে। এছাড়া যাদবপুরের অধ্যাপক ওম প্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে যে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তার প্রসঙ্গ ওঠে বৈঠকে। তবে সেই সময় বৈঠক ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উপাচার্য যেগুলি বলেছেন সেগুলি তিনি শুনেছেন। যেহেতু বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিবেচনাধীন। তাই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের বিষয়ে কী করা যায় সেই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে, ওম প্রকাশের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তাঁরা (বুদ্ধদেব) জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষে থাকা অধ্যাপক এবং প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপর থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা সেটা চাইছেন না। তাঁরা বক্তব্য, নিয়োগকর্তা অন্য কেউ হলেও তাঁরা সরকারের সঙ্গে আছেন।

মূলত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে জট তৈরি হয়েছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য ইসি বৈঠক করতে চেয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের কাছে অনুমতি চেয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষা দফতর সেই আবেদন খারিজ করা দেয়। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। সেই সমস্ত বিষয়ে আলোচনার জন্যই বুদ্ধদেব সাউ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত, রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এবং জয়েন্ট ফিনান্স অফিসার দেবাশিস পালকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দফতরে গিয়ে দেখা করেন। সমাবর্তনের বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাতে বলেছেন মন্ত্রী। নিয়ম অনুযায়ী সমাবর্তন অনুষ্ঠান করতে গেলে কর্মসমিতির বৈঠক এবং কোর্ট বৈঠক করতে হবে। তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।