Congress MP linked to ₹250 Cash recovery: আয়কর হানায় উদ্ধার ২৫০ কোটি নগদ! মামলায় নাম জড়ানো কংগ্রেস সাংসদ কে?

আয়কর দফতরের হানায় সম্প্রতি ২৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়ছে ওড়িশার একটি বেসরকারি ডিস্টিলারি সংস্থার একাধিক অফিস থেকে। এই পরিমাণ নগদ টাকা দেখে আয়কর দফতরের কর্মী সহ গোটা দেশেরই চক্ষু চড়ক গাছ। আর এই মামলায় নাম জড়িয়েছে এক কংগ্রেস সাংসদের। রিপোর্ট অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ডের থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভা সাংসদ ধীরজ সাহুর নাম জড়িয়েছে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, বলঙ্গির জেলাতে একটি অফিস থেকেই ২০০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও ওড়িশার সম্বলপুর, সুন্দরগড় এবং ঝাড়খণ্ডের বোকারো এবং রাঁচিতে অবস্থিত সংস্থার একাধিক অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও কয়েক কোটি টাকা নগদ। (আরও পড়ুন: বিশ্ব নেতাদের তালিকায় ফের শীর্ষে মোদী, নমোর গ্রহণযোগ্যতার হারে চোখ উঠবে কপালে!)

জানা গিয়েছে, যে সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা এই বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধর করেছে, সেটির নাম – বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড। সেই গোষ্ঠীরই একটি সংস্থা হল বলদেব সাহু উনফ্রা প্রাইভেট লিমিটেড। এই সংস্থার অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হয়েছে। রাঁচির রেডিয়ম রোডের সুশীলা নিকেতনেও আয়কর আধিকারিকরা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন। এই ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এবং সুশীলা নিকেতন নাকি কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর। উল্লেখ্য, গত ২০১০ সাল থেকেই ঝাড়খণ্ড থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সদস্য এই ধীরজ। কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে ধীরজ এবং তাঁর পরিবারের। ধীরজ নিজে পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তাঁর দাদা শিব প্রসাদ সাহু রাঁচি থেকে দু’বারের কংগ্রেস সাংসদ। ধীরজের মা-বাবা বলদেব এবং সুশীলা সমাজসেবী ছিলেন।

এদিকে বৌধ ডিস্টিলারির বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? রিপোর্ট অনুযায়ী, বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেড দীর্ঘদিন ধরে আয়কর ফাঁকি দিয়ে এসেছে। এই আবহে আয়কর মিটিয়ে দেওয়ার জন্য এই সংস্থাকে আগেও নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। যদিও সেই নোটিশ অগ্রাহ্য করেছিল সংস্থাটি। এই আবহে আয়কর দফতরের তরফ থেকে তল্লাশি অভিযান চালানো হয় ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশায় অবস্থিত সংস্থার বিভিন্ন শাখা অফিসে। আর সেই অভিযানেই চোখ কপালে উঠেছে সবার। রিপোর্ট অনুযায়ী, উদ্ধার হওয়া টাকা গুনতে গুনতে নাকি মেশিনও খারাপ হয়ে গিয়েছিল মাঝে। জানা যায়, এই বিপুল পরিমাণ নগদ গুনতে প্রায় ৩৬টি মেশিন ব্যবহার করেছিলেন আয়কর আধিকারিকরা। এদিকে উদ্ধার হওয়া এই বিপুল পরিমাণ নগদের উৎস কী সে ব্যাপারে আয়কর দফতর এখনও অন্ধকারে।

এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই রাজনৈতিক পারদ চড়েছে কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুকে ঘিরে। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে নমো লেখেন, ‘দেশবাসীর উচিত আগে এই টাকার বান্ডিলের পাহাড় দেখা, আর তারপর কংগ্রেসের সততার বাণী শোনা। যাদের থেকে এই টাকা লুট করা হয়েছে, তাদের কাছে এই টাকা ফেরানো হবে। এটা মোদীর প্রতিশ্রুতি।’ এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও এই নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অনুরাগ লেখেন, ‘প্রশ্ন হল, কেন রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধী সবসময় নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে প্রশ্ন করেন। ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর অফিস থেকে ২০০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। কংগ্রেস যেখানেই আছে, সেখানেই দুর্নীতি আছে। এই কারণেই কংগ্রেস বারবার সিবিআই এবং ইডির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলে।’ এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি কংগ্রেসকে তোপ দেগে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘ভালোবাসার দোকানে দুর্নীতির কারবার চলছে। কংগ্রেসকে এর জবাব দিতে হবে।’