Expired flour in ration: হাওড়ায় রেশনে দেওয়া হল মেয়াদ উত্তীর্ণ আটা, প্যাকেট খুলতেই কিলবিল করতে লাগল সাদা পোকা

রেশনে কারচুপির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। কখনও কম ওজনের রেশন সামগ্রী দেওয়া আবার কখনও কার্ড থাকা সত্ত্বেও রেশন না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর এবার মেয়াদ উত্তীর্ণ আটার প্যাকেট দেওয়ার অভিযোগ উঠল রেশন দোকানের বিরুদ্ধে। গ্রাহকরা বাড়িতে গিয়ে সেই প্যাকেট খুলতেই দেখতে পেলেন কিলবিল করছে পোকা। রেশনের আটার এমন অবস্থা দেখে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হল গ্রাহকদের। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড়ের সলপ দাস এলাকায়। 

আরও পড়ুন: এবার রেশন দোকানগুলিতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র, নবান্নে প্রস্তাব পাঠাল খাদ্য দফতর

রেশন দোকান থেকে গত বৃহস্পতিবার অনেকেই আটা সংগ্রহ করেছিলেন। তারা যখন সেই আটার প্যাকেট কেটে রুটি করার সময় তার মধ্যেই পোকা কিলবিল করতে দেখেন। সন্দেহ হতেই তারা দেখেন প্যাকেটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। সেই প্যাকেটের মেয়াদ প্রায় দেড় মাস পার করেছে। আর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সলপ অঞ্চলে। এরপর রাতেই সেই আটার প্যাকেট নিয়ে রেশন দোকানে যান স্থানীয়রা। সেখানে রেশন ডিলার ভুল স্বীকার করলেও গাফিলতি কার সে বিষয়ে তার জানা নেই বলেই জানান। যদিও ডোমজুড় অঞ্চল খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। প্রশ্ন উঠছে একটাই সাধারণ মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যের বন্টন কি সঠিকভাবে করা যেত না।

শেখ মোস্তাক আলি নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘বাবা গত বৃহস্পতিবার রেশন দোকান থেকে আটা নিয়ে এসেছিলেন। গতকাল খুলতেই তাতে দেখা যায় পোকা কিলবিল করছে। এরপর অন্যান্যদের জিজ্ঞেস করি। তারাও একই কথা জানায়।’ ঘটনার জন্য তিনি রেশন ডিলারকে দায়ী করেছেন। তার বক্তব্য, যেহেতু রেশন ডিলার এই সমস্ত সামগ্রী দিচ্ছেন তাই তার দেখা উচিত ছিল সেগুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে কিনা। এই ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে যাতে পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, রেশন ডিলার দীনেশ মণ্ডল বলেন, ‘এতে কার গাফিলতি আমরা জানিনা। গোডাউন থেকে আমাদের কাছে মাল আসে। আমরা বস্তা কাটি আর চাল এবং আটা দিয়ে দিই। গোডাউন মালিক আমাদের বস্তা বেছে নিতে বলেন। আমরা বেছে নিই। এতদিনের রেশন দোকান। এর আগে কোনও দিন এই ধরনের অভিযোগ আসেনি। হয়তো যে লটে মাল এসেছিল সেই লটে দু একটি বস্তা পুরনো ছিল। আমি গোডাউন মালিক এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে জানাবো।’