Nishikant on Mahua: মহুয়ার বহিষ্কারে খুব কষ্ট পেয়েছেন নিশিকান্ত, হলটা কী?

ঘুষকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। তবে আপাতত মহুয়ার পাশে রয়েছে দল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজেই একথা জানিয়েছেন। এদিকে বিজেপি এমপি নিশিকান্ত দুবে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছিলেন বিভিন্ন মহলে। এবার প্রশ্ন, এই যে মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করা হল এজন্য় নিশিকান্ত দুবের প্রতিক্রিয়াটা ঠিক কী?

এনিয়ে এবার সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে মুখ খুলেছেন তিনি। নিশিকান্ত সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে জানিয়েছেন, আমি এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাই না। তবে কি আপনি খুশি?

এই প্রশ্নের উত্তরে নিশিকান্ত দুবে বলেন, এর মধ্য়ে খুশির কী আছে? একজন সাংসদের দুর্নীতির জন্য় বেরিয়ে যাওয়া, রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার জন্য় বেরিয়ে যাওয়া এটা সাংসদ হিসাবে আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। কাল খুশির দিন ছিল না। কাল ছিল কষ্টের দিন। সেকারণেই কাল ক্ষমা চেয়েছিলাম। আজও ক্ষমা চাইছি।

নিশিকান্ত সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি খুশি হননি। তিনি কষ্ট পেয়েছেন। কেন কষ্ট পেয়েছেন তার কারণটাও তিনি জানিয়ে দেন।

 

তবে মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের পর থেকেই ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা এক সুরে সুর মেলাতে শুরু করেছে। কংগ্রেসও এই ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আওয়াজ তুলেছে। মহুয়া ইস্যুতে কার্যত ঐক্যের বাতাবরণ ইন্ডিয়া জোটের অন্দরে। কিন্তু সেটা কতদিন থাকবে সেটা নিয়ে অবশ্য় পুরোমাত্রায় সংশয় রয়েছে।

তবে বহিষ্কারের পরে অবশ্য় মহুয়া মৈত্রর সংসদ নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট পাওয়ার বিষয়টি পাকা হয়ে গিয়েছে।

মহুয়া মৈত্রকে কি ফের টিকিট দেবে তৃণমূল? তিনি কি প্রার্থী হবেন? শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে এই প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিক।

আর সেই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, না হওয়ার তো কারণ এখনও পর্যন্ত দেখছি না। তাছাড়া ওকে তো পার্টি প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে কৃষ্ণনগরে। তাছাড়া পার্টি তো ওর পেছনে দাঁড়িয়েছে। ধ্বনি ভোটে হয়েছে। ভোট রেকর্ড করা হয়নি। হাত তুলে ভোট। চেঁচিয়ে ভোট আর কি! কোনওরকম স্কোপ না দিয়ে। জানালের মমতা।

সেই সঙ্গেই কার্যত এই বহিষ্কার মহুয়া মৈত্রের জন্য় সামনের লোকসভা ভোটের কৃষ্ণনগরের আসনের টিকিটটি পাকা করে দিল। খোদ নেত্রী যেখানে বলেছেন সেখানে আর অন্য়থা হওয়ার উপায় নেই। তবে কি শাপে বর হল মহুয়ার?