আশুলিয়ায় নদীতে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার ঘটনায় সন্দেহভাজন আটক ৪

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় নদীতে ভাসমান তরূণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে র‍্যাব-৪। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তরুণীর পরিচয়ও নিশ্চিত করেছে র‍্যাবের আভিযানিক দল।

রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব ৪ সিপিসি ২ এর কোম্পানী কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান। এর আগে গত শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে আশুলিয়ার শিমুলিয়ার বিক্রমপুর এলাকার বংশাই নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

 নিহত রুবিনা খাতুন (২৪) দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার রামপুর গ্রামের ওয়ারেছ আলীর মেয়ে। তিনি নরসিংদীর পলাশ থানা এলাকায় একটি টেক্সটাইল কারখানায় চাকরির সুবাদে সেখানেই কারখানার কোয়ার্টারে স্বামী মঞ্জুরুল এর সাথে বসবাস করতেন। স্বামীর সাথে ঝগড়া বিবাদ হওয়ায় নিজের ছেলে-মেয়েকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আসেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আশুলিয়ার বংশাই নদীতে একটি অজ্ঞাত তরুনীর মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে নৌ-পুলিশ অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে ঐ তরুণী হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের ভাই মাসুদ রানা।

র‍্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। প্রাথমিকভাবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেনি র‍্যাব।

এবিষয়ে র‍্যাব ৪ সিপিসি ২ কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, এ ঘটনা জানার পর থেকে ছায়া তদন্ত শুরু করি আমরা। সন্দেহভাজনদের কে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়া আমাদের তদন্ত ও অভিযান চলমান রয়েছে। এঘটনায় জড়িত ব্যাক্তি আর কেউ থাকলে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। 

 



শাকিল/সাএ