Chandrakona: আলু চাষে ক্ষতির আশঙ্কায় বিষপান, রাজ্যে ৩ দিনে আত্মঘাতী ৩ চাষি

অকাল বৃষ্টিতে জলের নীচে চলে গিয়েছে সদ্য রোপন করা আলুবীজ। ঋণ নিয়ে চাষ করে ক্ষতির আশঙ্কায় আত্মঘাতী হলেন আরও ১ কৃষক। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার লাহিরগঞ্জেক বাসিন্দা বাপি ঘোষ। শুক্রবার গভীর রাতে কীটনাশক খান তিনি। এই নিয়ে ৩ দিনে দক্ষিণবঙ্গে ৩ জন চাষি আত্মঘাতী হলেন।

পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, চড়া সুদে মোটা টাকা ঋণ নিয়ে আলুচাষ করেছিলেন বাপি ঘোষ। কিন্তু গত সপ্তাহের বৃষ্টিতে জলের নীচে চলে গিয়েছে জমি। যার ফলে চাষে ক্ষতির আশঙ্কায় বিষাদে ভুগতে শুরু করেন তিনি। বন্ধুদের কাছে তাঁর আশঙ্কার কথাও জানান। কিন্তু চাপের মুখে তিনি যে চরম সিদ্ধান্ত নেবেন তা অনুমান করতে পারেননি কেউ।

শুক্রবার গভীর রাতে কীটনাশক খান বাপি ঘোষ। তাঁকে উদ্ধার করে ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিজনরাই। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। শনিবার গভীর রাতে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।

পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ঋণ নিয়ে চাষ করে ক্ষতির আশঙ্কাতেই আত্মঘাতী হয়েছেন বাপি। খবর পেয়ে রবিবার মৃত কৃষকের বাড়িতে যান চন্দ্রকোণার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ ধাড়া। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

বিরোধীদের দাবি, রাজ্যে অকালবর্ষণে ধান, আলু ও মরশুমি সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু চাষিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এখনো কোনও ঘোষণা করেনি রাজ্য সরকার। এর ফলে আগামীতে আরও চাষি চাপের মুখে চরম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সেসব জেনেও চাষিদের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই সরকারের।