Shantiniketan Poush mela: বিকল্প জায়গায় হবে পৌষমেলা, সিদ্ধান্তের কথা জানাল বীরভূম জেলা প্রশাসন

শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠে এবারও হচ্ছে না ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা আগেই জানানো হয়েছে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই শান্তিনিকেতনবাসী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এই অবস্থায় বিকল্প জায়গায় পৌষমেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। তাতে মেলাপ্রেমীদের নিরাশা কাটবে বলেই মনে করছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন: পৌষমেলার দাবিতে বিশ্বভারতীতে বিক্ষোভ, গেটের তালা ভেঙে ঢুকলেন ব্যবসায়ীরা

শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠে শেষবার পৌষমেলা হয়েছিল ২০১৯ সালে। এরপর বিভিন্ন জটের কারণে ওই মাঠে আর পৌষমেলা হয়নি। যারফলে ২০২২ সালে বিকল্প জায়গায় পৌষমেলার আয়োজন করেছিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। এবারও সেই পথেই হাঁটতে চাইছে সরকার। এ নিয়ে শুক্রবার জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। বোলপুর মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলাশাসক বিধান রায় এবং বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। গতবার বীরভূম জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর মাঠে পৌষমেলার আয়োজন করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে এবারও ওই মাঠেই পৌষমেলা করতে চাইছে প্রশাসন। তবে সে ক্ষেত্রে প্রথমে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে পূর্বপল্লীর মাঠ চেয়ে আবেদন জানাবে জেলা প্রশাসন। তাতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যদি সায় দেয় তাহলে পূর্বপল্লীর মাঠেই করা হবে পৌষমেলা। তা না হলে ডাকবাংলার মাঠে পৌষমেলা করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলাশাসক বিধান রায় জানান, সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রতিবছরের মতো এবারও পৌষমেলা হবে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে তিনদিনের পৌষমেলা। সেক্ষেত্রে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মাঠ না দিলে ডাকবাংলোর মাঠে এই মেলা করা হবে। জেলাশাসকের বক্তব্য, এই মেলার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সংস্কৃতি এবং বাংলার ঐতিহ্য জড়িত রয়েছে। ফলে মাঠে নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। আর এবারের মেলায় রেকর্ড ভিড় হবে বলেই তাঁর আশা।উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কোভিডের কারণে বন্ধ ছিল পৌষমেলা। এরপর বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আপত্তিতে ২০২১ এবং ২২ সালেও সেখানে পৌষমেলা হয়নি। এবারও সেখানে পৌষমেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত রাখায় বিশ্বভারতীতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকে কর্তৃপক্ষ।