নির্বাচনি ইশতেহারে হরিজন জনগোষ্ঠীর ৮ দফা অন্তর্ভুক্তির দাবি

দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক ক্ষমতায়ন ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি ইশতেহারে আট দফা অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।

রবিবার (১০ ডিসেম্বর) খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে গঠিত ওয়ার্কিং গ্রুপের আহ্বায়ক সিলভি হারুনের নেতৃত্বে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আট দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে ধরা হয়। এ সময় ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মী ইসরাত নূয়েরী হোসেন মুমু, অরুণ দাশ প্রমুখ।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর এই ন্যায্য দাবি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে তুলে ধরার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষও এই দেশের নাগরিক। তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার অধিকার রয়েছে। তারা যেন পিছিয়ে না থাকে, সে জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে।

পরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারীর কাছেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

দাবিগুলো হচ্ছে বৈষম্য নিরোধ আইন কার্যকর করা এবং এতে দলিত জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করা। আসন্ন দ্বাদশ সংসদে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা। জাতীয় সংসদে ও স্থানীয় সরকার এ আসন সংরক্ষণের পাশাপাশি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে দলিতদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা ও সংসদীয় ককাস গঠন করা। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া/অনগ্রসর জনগোষ্ঠী কারা তা সুনির্দিষ্ট করা এবং পিছিয়ে পড়া/অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর তালিকায় দলিত উল্লেখ করা।

দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঝরে পরা রোধে, উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে শিক্ষাঋণ চালু করা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনিয়োগ তহবিল (সহজ শর্তে ঋণ) গঠন করা। মেডিক্যাল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দলিতদের জন্য এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় হরিজন জনগোষ্ঠীর কোটা বরাদ্দ করা।

চাকরি নীতি যুগোপযোগী করাসহ সব প্রতিষ্ঠানে চাকরি স্থায়ী করা এবং ঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুসারে ঝাড়ুদার/ক্লিনার/সুইপার পদে মোট নিয়োগের ৮০ শতাংশ হরিজন জনগোষ্ঠীর কোটার সঠিক বাস্তবায়ন করা এবং আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করা।