Mysterious Death after Lottery win: লটারি জয়ের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্যজনক মৃত্যু যুবকের, দেহ মিলল জলাশয়ে

গত পরশু লটারিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রাপ্তি ঘটেছিল হাবড়ার কৃষ্ণপদ দাসের। এর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল তাঁর। ৩৩ বছর বয়সি কৃষ্ণপদ হাবড়া পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ইতনা কলোনি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। শনিবার হাবড়ার শশ্মান সংলগ্ন এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় কৃষ্ণপদের মৃতদেহ। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, লটারির টাকার লোভেই কেউ তাঁকে খুন করে থাকতে পারে। কৃষ্ণপদর পরিবারের অভিযোগ, টাকা, মানিব্যাগ ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে খুন করা হয়েছে কৃষ্ণপদকে। এই মর্মে এফআইআর দায়ের হয়েছে পুলিশে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: স্ত্রীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ নয়, বলল এলাহাবাদ হাই কোর্ট)

আরও পড়ুন: ডিএ নিয়ে চাপ বাড়াল বিরোধীরা, অবশেষে সরকারি কর্মীদের মুখোমুখি হবেন মুখ্যমন্ত্রী

জানা গিয়েছে, শুক্রবার লটারিতে ৪৫ হাজার জিতেছিলেন কৃষ্ণপদ। রেলের ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন তিনি। কৃষ্ণপদ নিয়মিত লটারির টিকিট কাটতেন বলে জানা গিয়েছে। আর শুক্রবার ভাগ্যদেবী প্রসন্ন হয়েছিলেন তাঁর ওপর। এরপর শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ প্রতিদিনের মতো কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। তবে আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর। সকাল দশটা হাবড়া শশ্মান সংলগ্ন এলাকায় জলাশয় থেকে কৃষ্ণপদর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই খবর যায় কৃষ্ণপদের পরিবারের কাছে। সেখান থেকে কৃষ্ণপদকে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়।

আরও পড়ুন: ‘বন্ধ’ ১০ কোটি জনধন অ্যাকাউন্ট, তৃণমূল সাংসদের চিঠিতে ‘স্বীকারোক্তি’ কেন্দ্রের!

ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতের পিসতুতো দাদা অমল দাস সংবাদমাধ্যমকে জানান, যখন জলাশয় থেকে কৃষ্ণপদকে উদ্ধার করা হয়, তখন তাঁর পকেটে মানিব্যাগ বা মোবাইল ছিল না। এই আবহে পরিবারের সন্দেহ, টাকার লোভে খুন করা হয়ে থাকতে পারে কৃষ্ণপদকে। এদিকে মৃতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না বলে জানা গিয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে বক্তব্য পুলিশের। তবে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।