Science News: দানবের মতো বিশাল ‘রেড স্প্রাইট’ ধরা দিল বিজ্ঞানীর ক্যামেরায়, আদতে কী ওটা

লাল রঙের ওটা কী পৃথিবীর উপর? ঠিক এই প্রশ্নই মনে আসে অ্যান্ড্রিউ মগেনসেন। উচ্চমানের ক্যামেরা দিয়ে মহাকাশের বেশ কিছু ছবি তুলেছিলেন তিনি। তখনই ওই লাল রঙের আলো তাঁর চোখে পড়ে। দেখা যায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে একটা লাল আলো জ্বলজ্বল করছে। উল্লম্বভাবে ওই আলোকে পৃথিবীর দিকে নামতে দেখা গিয়েছে। মহাকাশচারী অ্যান্ড্রিউ মগেনসেন ড্যানিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্পে ছিলেন। সেই প্রকল্পেরই একটি বিশেষ কাজ সল মহাকাশের কিছু ছবি তোলা। আর সেই ছবি তুলতে গিয়েই চোখে পড়ল লাল রঙের ওই আলো। 

(আরও পড়ুন: লোনের ফাঁদ পাতছে সাইবার হ্যাকাররা! একগুচ্ছ অ্যাপকে প্লে স্টোর থেকে সরাল গুগল)

প্রসঙ্গত, ড্যানিল টেকনিকাল ইউনিভার্সিটির হয়ে থর-ডেভিস নামের পরীক্ষাটি করছিলেন তিনি। বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে বজ্রপাত গ্রিন হাউস গ্যাসের উপর কেমন প্রভাব ফেলে, সেটা জানতেই এই পরীক্ষা। বায়ুমণ্ডলের ওই স্তরের এই ধরনের বজ্রপাত গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ কতটা বাড়িয়ে দেয়, তার পরীক্ষা করতে গিয়ে দানবের মতো আলোর খোঁজ মেলে। 

দানবের মতোই বটে। কারণ ক্যামেরায় তোলা ওই আলো আদতে ২৬ কিমি লম্বা ও ১৪ কিমি চওড়া। এই দিন ড্যানিশ টেকনিকাল ইউনিভার্সিটির প্রধান বিজ্ঞানী অলিভিয়ার চ্যানরিওন বলেন, অ্যান্ড্রিউজের তোলা ছবিগুলি সত্যিই ভীষণ সুন্দর। ডেভিস ক্যামেরা এই ধরনের ছবি তোলার জন্য পারদর্শী। পাশাপাশি হাই টেম্পোরাল রেজোলিউশনের ছবি তুলেছে ওই ক্যামেরা। যা বজ্রপাতের প্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করবে।

(আরও পড়ুন: ফোনের পাসওয়ার্ড ম্যানেজারও নিরাপদ নয় আর! কেন এই কথা বললেন বিশেষজ্ঞরা)

লাল রঙের আলো বা রেড স্প্রাইট আদতে কী?

রছড স্প্রাইট আদতে বিজ্ঞানের ভাষায় ট্রানসিয়েন্ট লুমিনাস ইভেন্ট বলা হয়। এটি সাধারণত উল্কাপাতজনিত একরকম আলোর ঝলকানি। লাল রঙের আলোই এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে এই বজ্রপাত দেখা যায় বেশি। বিজ্ঞানীদের কথায়, বজ্রপাতের মেঘ যেখানে জড়ো হয়, তার থেকেও ৪০-৮০ কিমি উপরে এই আলো দেখা যায়। 

বজ্রপাতের ঠিক উল্টো ঘটনা!

বজ্রপাতের ঠিক উল্টো ঘটনা ঘটে তৈরি হয় রেড স্প্রাইট। সাধারণত মেঘ থেকে কড়কড়ে বিদ্যুৎ আছড়ে পড়ে মাটিতে‌। তবে রেড স্প্রাইট আদতে উল্টো ঘটনা। এক্ষেত্রে একটি বিশেষ তরঙ্গ মেঘ থেকে সোজা উপরের দিকে উঠে‌ যায়। যাকে অনেকে রিভার্স লাইটনিংও বলছেন। এই দিন তারই দেখা পেয়েছেন বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রিউজ মগেনসন।