‘‌আমাদের বাংলাই সব দেশকে নেতৃত্ব দেবে’‌, শিলিগুড়ির সভা থেকে বড় দাবি মমতার

বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে লড়বে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেক্ষেত্রে বিজেপি বনাম তামাম বিরোধীদের লড়াই চাক্ষুষ করতে চায় ভারতবাসী। ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে ‘‌ইন্ডিয়া’‌ জোট। আর এই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হওয়ার আজ, মঙ্গলবার শিলিগুড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন বাংলাই ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেবে। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ আগামী ১৯ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের চতুর্থ বৈঠক। তার আগে উত্তরবঙ্গের সভা থেকে এমন বক্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

এদিকে আগামী ১৯ তারিখ নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে মিলিত হবেন বিরোধী ১৭ দলের প্রতিনিধিরা। সেই বৈঠকে থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে থাকবেন আরও শীর্ষ নেতৃত্ব। আসন বন্টন নিয়ে সেখানে আলোচনা হওয়ার কথা। তার আগেই আজ, মঙ্গলবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌আজ বাংলা যা ভাবে, দেশ তা ভাবে আগামীকাল। তাই ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেব আমরাই।’‌ তাঁর এই বার্তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ এই বার্তা কি কাউকে উদ্দেশ্য করে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তা কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে বলে অনেকে মনে করছেন। কারণ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে একেবারে ল্যাজেগোবরে ফল করেছে কংগ্রেস। তারপর তাদের মুখে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা মানায় না। বিজেপির সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি। তাই এমন বার্তা দিয়ে রাখা হল কিনা সেটা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। এভাবে ইন্ডিয়া জোটের ভিতরে আসন নিয়ে দরাদরিতে আগাম গেয়ে রাখতেই এমন মন্তব্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব নিয়ে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌আগামীকাল দেশ যা ভাবে বাংলা তা আজ ভাবে। তাই আমাদের বাংলাই ভারতকে নেতৃত্ব দেবে। আমাদের বাংলাই সব দেশকে নেতৃত্ব দেবে। আর সকলকে আমরা মর্যাদা দেব। সকলের জন্য কাজ করব।’‌

আরও পড়ুন:‌ সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের চিঠি দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, কোন তথ্য জানতে চায় সরকার?‌

এছাড়া কংগ্রেস এবার তিন রাজ্যে পরাজিত হয়েছে কারণ তাদের দাদাগিরি মনোভাব। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকে সেটাই উঠে এসেছে। আগামী সপ্তাহে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক। তার আগে তৃণমূল সুপ্রিমো বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, কংগ্রেসের ‘দাদাগিরি’ মোটেই বরদাস্ত করা হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফর্মুলা দিয়েছিলেন, যে রাজনৈতিক দল যেখানে শক্তিশালী, সে সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। এবারও এই ফর্মুলা মনে করিয়ে দেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেস যখন পারছে না তখন তৃণমূল কংগ্রেসকেই নেতৃত্ব দিতে হবে—এটা বোঝাতেই এমন মন্তব্য মমতার বলে মনে করা হচ্ছে।