গাজায় স্থায়ীভাবে থাকার কোনও ‘ইচ্ছা নেই’ ইসরায়েলের  

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়  স্থায়ীভাবে থাকার কোনও ইচ্ছা নেই ইসরায়েলের। এমনকি এই অঞ্চলটি কে নিয়ন্ত্রণ করবে সে সম্পর্কে আলোচনার পথ উন্মুক্ত রয়েছে  বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এই খবর প্রকাশ করেছে।

ইয়োভ গ্যালান্ট সাংবাদিকদের বলেন, ‘হামাসকে ধ্বংস করার জন্য যেকোনও ব্যবস্থা নেবে ইসরায়েল। তবে গাজা উপত্যকায় স্থায়ীভাবে থাকার কোনও ইচ্ছা আমাদের নেই।’

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের পর কারা গাজা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তা নিয়ে বিকল্প আলোচনার করতে প্রস্তুত ইসরায়েল। তবে মূল শর্ত হল সেই শাসককে অবশ্যই ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন হওয়া চলবে না। আমার মতে, এছাড়া বাকি সব নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। তবে এ শাসক অবশ্যই হামাস বা ইসরায়েল হবে না। আমরা আমাদের কাজের, যেকোনও ধরনের হুমকি মোকাবিলা করতে সামরিকভাবে কাজ করার স্বাধীনতা বজায় রাখব।’

গ্যালান্ট  হামাস যোদ্ধা এবং কমান্ডারদের হত্যা করার পরিবর্তে আত্মসমর্পণের প্রকাশ্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আত্মসমর্পণ করলে আপনি নিজের জীবন বাঁচাতে পারবেন। না হলে, আপনার ভাগ্য নির্ধারণ করা আছে।’

তিনি আরও বলেন, গাজায় যুদ্ধে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষ করে উত্তর গাজায়, যেখানে পরিস্থিতি হতাশাজনক ছিল।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, গাজায় এ পর্যন্ত হামাস এবং ছোট গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের ৫০০ জনেরও বেশি সশস্ত্র যোদ্ধাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ওইদিন থেকে গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় দেশটি।