Mehbooba Mufti: ৩৭০ ধারা রদ মামলায় সুপ্রিম রায়ের দিনই গৃহবন্দি মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা

আজ আর কিছুক্ষণে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে। তার আগেই পিডিপি-র তরফ থেকে দাবি করা হল, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। পিডিপির অভিযোগ, সুপ্রিম রায়ের আগে মেহবুবাকে বেআইনি ভাবে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এর আগে ৩৭০ ধারা বাতিল করার আগে এবং সেই আইন বাতিল হওয়ার পরে দীর্ঘদিন মেহবুবাকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছিল। এদিকে ৩৭০ ধারা রায় প্রঙ্গে এর আগে মেহবুবা বলেছিলেন, ‘আমি চাই সুপ্রিম কোর্ট যাতে ৩৭০ ধারা রদের এই সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি বেআইনি বলে ঘোষণা করে।’ (৩৭০ ধারা বাতিল মামলার রায়ের আপডেট)

আরও পড়ুন: ‘বহিরাগতদের’ ভোটাধিকার থেকে ডিলিমিটেশন, ৪ বছরে কীভাবে বদলেছে জম্মু ও কাশ্মীর?

এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান তথা সাংসদ ফারুক আবদুল্লা এবং তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লার বাড়ির সামনে থেকে সাংবাদিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ফারুক বর্তমানে দিল্লিতে আছেন শীতকালীন অধিবেশনের জন্য। তবে ওমর আবদুল্লা আছেন শ্রীনগরেই। তবে প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাংবাদিকদের কথা বলতে দেয়নি পুলিশ। শ্রীনগরের গুপকর রোডের কাছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল করা হয়েছে। এদিকে ৩৭০ ধারা রদ মামলায় সুপ্রিম রায়ের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ানো নিয়েও তৎপর প্রশাসন। সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক কোনও বার্তা যাতে না ছড়ানো হয়, তার জন্য কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। এই আবহে গত তিনদিনে ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৭০ ধারা নিয়ে হিংসামূলক বার্তা পোস্ট করার অভিযোগে।

উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের আইনি বৈধতা নির্ধারণ করতে টানা ১৬ দিন ম্যারাথন শুনানি হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের সামনে এই শুনানি হয়। জাস্টিস চন্দ্রচূড় ছাড়াও বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি ভূষণ আর গভাই এবং বিচারপতি সূর্যকান্ত। রিপোর্ট অনুযায়ী, আজকে পৃথক দু’টি রায় শোনাতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায় পৃথকও হতে পারে আবার একই দিকে দিকনির্দেশনা করতে পারে। সেই বিষয়ে বিশদে জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ছিনিয়ে নিয়ে এটিকে দু’টি পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছিল। সংসদে বিল এনে বাতিল করা হয়েছিল সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ নং ধারা। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতাতেই একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। সেই আবেদনগুলির প্রেক্ষিতেই শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। আর আজ তারই পরিপ্রেক্ষিতে রায়দান করবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।