জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় এবার হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য। এর আগে আদালত জানিয়েছিল, এই অভিযোগে বিজেপি বিধায়কদের গ্রেফতার করা যাবে না। হাইকোর্টের সেই রক্ষাকবচের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের গেল রাজ্য। নবান্নের পক্ষ থেকে এই মামলা নিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
গত ২৯ নভেম্বর বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সেই সময় শাসক শিবির জাতীয় সঙ্গীত ধরে। কিন্তু গান শুরু হলেও বিজেপি বিধায়করা স্লোগান থামাননি। এর পর জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা হয়েছে বলে হাইকোর্টে যায় তৃণমূল।
কিন্তু বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তৃণমূলের আইনজীবীর কাছে জানতে চান হঠাৎ করে কেন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শুরু হল? তিনি বলেন, ‘যেখানে সেখানে গাইতে পারেন না। গান গাওয়ার পরিবেশ যদি সঠিক না হয়। স্লোগান আর চেঁচামেচির মধ্যে গান হলে, কীভাবে আশা করেন বাকিরা যারা শুনছে।’
এই মামলায় ১০ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তাঁদের রক্ষাকচব দেয় আদালত। একই সঙ্গে তদন্ত প্রক্রিয়ার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
এই মামলা শুনানিতে উঠলেই বিচাপতি বলেন, অপরাধের এক মামলা থাকতে টাকা খরচ করে এরকম একটা মামলা কেন করা হল, নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি আটকে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।