জেঁকে বসছে শীত, আসছে শৈত্যপ্রবাহ

চলে এসেছে ডিসেম্বর। ইতোমধ্যে সারা দেশে শীত জেঁকে বসেছে। ঘন কুয়াশায় সোমবার রাতে চাঁদপুরের কাছে মেঘনা নদীতে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হন। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় মধ্যরাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি ১২টি ফ্লাইট। পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল সাড়ে ছয় ঘণ্টা বন্ধ ছিল।

বেড়ে যাওয়া সঙ্গে বেড়েছে মানুষের ভোগান্তিও। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ বুধবার শীতের তীব্রতা ও কুয়াশা আরো বাড়তে পারে।  আজ  মধ্যরাত থেকে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।

মূলত ঘন কুয়াশার কারণে সকালে এ রকম গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মতো হয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।  সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত বা শুক্রবার থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও বয়ে যেতে পারে  মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটা চলতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গতকাল রাতে  জানান, সারা দেশেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমছে। রাতের তাপমাত্রাও কমেছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৮ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে।

আবুল কালাম মল্লিক জানান, আগামীকাল রাত বা পরদিন থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঈশ্বরদী ও পাবনা জেলায় এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১১.৮ ডিগ্রি।



বাঁধন/সিইচা/সাএ