‘‌নিরাপত্তা আরও কড়া করতে হবে’‌, সংসদের ঘটনার পর বিধানসভা নিয়ে মন্তব্য বিমানের‌

ঠিক ২২ বছরের ব্যবধান। বুধবার আবার আতঙ্ক ফিরল লোকসভায়। সংসদের ওই তাণ্ডব এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আর তারপরই নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। সূত্রের খবর, এবার থেকে ভিজিটার–সহ প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই বিধানসভায় প্রবেশের সময় তল্লাশি কড়াকড়ি করা হবে। জোর দেওয়া হবে নজরদারিতে। নতুন সংসদ ভবনে দু’জনের হামলার ঘটনায় সরগরম হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজনীতি। আর তার পরেই এক প্রশ্নের জবাবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় শূন্যপদে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের কথা জানান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার নিরাপত্তা নিয়ে জবাব দেন তিনি।

এদিকে সংসদে যা ঘটেছে তা বিধানসভাতেও ঘটতে পারে। এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। তাই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌অনেকেই বিধানসভায় আসেন। তাই নিরাপত্তা আরও কড়া করতে হবে। এই বিষয়ে সকলকে আরও বেশি করে সচেতন থাকতে হবে। আমাদের বিধানসভায় যখন অধিবেশন চলে তখন আমরা কলকাতা পুলিশের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করি। এমনকী মাঝেমধ্যে তাদের কাছ থেকেও নিরাপত্তারক্ষী নিতে হয় আমাদের। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অধিবেশনের দিনগুলিতে নিরাপত্তারক্ষীরা বিধানসভাতেই থাকেন। বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানে প্রয়োজন হলে তাঁদের আনা হয়।’‌

অন্যদিকে বুধবার সংসদে ঘটা তাণ্ডবের পর বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সামান্য হলেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিধায়কদের মধ্যে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই নিরাপত্তার বিষয়ে আরও কড়াকড়ির কথা জানিয়েছেন। স্পিকারের কথায়, ‘‌সাধারণত যখন বিধানসভা চলে না, স্থায়ী সমিতির বৈঠক হয়, আমাদের যাঁরা নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন, তাঁদের দিয়েই আমরা কাজ করিয়ে থাকি। নিরাপত্তারক্ষীদের যে সমস্ত শূন্যপদ রয়েছে সেখানে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা আমরা করব।’

আরও পড়ুন:‌ মোদী–শাহের পর পর সফর কলকাতায়, লোকসভা নির্বাচনের আগে আনাগোনা শুরু

উল্লেখ্য, আজ বুধবার আতঙ্ক ফিরে এল নতুন সংসদ ভবনে। লোকসভার ভিজিটারস গ্যালারি থেকে দুটি ক্যানিস্টার নিয়ে সাংসদদের বেঞ্চে ঝাঁপ দেয় দুই যুবক। তারপর তারা ক্যানিস্টার খুলে দেন লোকসভার মধ্যেই। আর তারপর তা থেকে গলগল করে ধোঁয়া ও গ্যাস বেরোতে থাকে। এরপরই নড়েচড়ে বসে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। বছরে বিধানসভা চলে ৫০ থেকে ৬০ দিন। এখন মাত্র ২০ জন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন বিধানসভায়। আগে সেই সংখ্যা ছিল প্রায় ৬০ জনের। তাই শূন্যপদে নিয়োগের কথা জানালেন স্পিকার। এবার বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে চলেছে রাজ্য বিধানসভা।