Mahadev App accused arrested in Dubai: মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় বড় সাফল্য ED-র, দুবাইয়ে গ্রেফতার মাস্টারমাইন্ড

ছত্তিশগড় এবং জাতীয় রাজনীতিতে ঝড় তোলা মহাদেব বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে বড় সাফল্য পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি দুবাই থেকে এই অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত অন্যতম ‘মাস্টারমাইন্ড’ রবি উপ্পলকে গ্রেফতার করেছে সেই দেশের পুলিশ। শীঘ্রই এই রবি উপ্পলকে ভারতে আনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই মতো ১ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে, এমন কোনও গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করা যাবে এক দেশ থেকে আরেক দেশে। এই আবহে শীঘ্রই ধৃত রবিকে ভারতে নিয়ে এসে এই মামলার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে মহাদেব বেটিং অ্যাপকে ঘিরে। গত প্রায় দেড় বছর ধরে এই অ্যাপ নিয়ে তদন্ত করছে ইডি। উদ্ধার হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। সম্প্রতি এই বেটিং অ্যাপ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলেরও। এত কিছুর পর গত ৫ নভেম্বর মহাদেব বেটিং অ্যাপকে নিষিদ্ধ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আইটি আইনের ৬৯ নং ধারার অধীনে এই অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, মহাদেব বেটিং অ্যাপ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চর্চা চলছিল। এই অ্যাপের অন্যতম প্রোমোটার সৌরভ চন্দ্রাকরের বিলাসবহুল বিয়ে থেকে শুরু করে বলিউড তারকাদের যোগ চোখ কপালে তুলছিল। এরই মাঝে সম্প্রতি ইডির তরফে দাবি করা হয়, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে ৫০৮ কোটি টাকা দিয়েছিল মহাদেব বেটিং অ্যাপের প্রোমোটাররা। জানা গিয়েছে, এই মামলায় সম্প্রতি অসীম দাস এবং ভিম সিং যাদব নামক দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। ইডি জানায়, বৃহস্পতিবার রায়পুরের এক হোটেল থেকে ৫.৩৯ কোটি নগদ উদ্ধার করে পুলিশ। জেরায় অসীম দাস বলে, বাঘেল নামক এক রাজনীতিবিদকে এই টাকা দিতে এসেছিল সে। এই টাকা নাকি দুবাই থেকে এসেছিল। গত তিন, চার মাসে এই নিয়ে ইডি চতুর্থ জনকে গ্রেফতার করল এই মামলায়। এখনও পর্যন্ত ৪৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। পরে শুভম সোনি নামক এক ব্যক্তি নিজেকে মহাদেব অ্যাপের ‘মালিক’ দাবি করে একটি ভিডিয়ো বার্তা দেয়। তাতে সেও অভিযোগ করে, ভূপেশ বাঘেল নাকি টাকা নিয়েছেন অ্যাপ প্রোমোটারদের থেকে। পরে অবশ্য ধৃত অসীম দাস বাঘেলকে নিয়ে নিজের বয়ান থেকে সরে আসে।