Ration Scam: শুধু ২ জেলাতেই ১০০-র বেশি সম্পত্তি, বালুর মদতে বাকিবুরের সাম্রাজ্য পসার বিদেশেও

রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। আর চার্জশিটে ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান ও মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর সব অভিযোগ এনেছে তারা। কী ভাবে দুর্নীতির টাকা বাকিবুরের থেকে বালুর কাছে এসেছে তার নীল নকসা চার্জশিটে তুলে ধরেছেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, চাল ও আটা বণ্টনে দুর্নীতির টাকায় শুধুমাত্র ২ জেলাতেই শতাধিক সম্পত্তি করেছেন বাকিবুর। তার তালিকাও চার্জশিটের সঙ্গে পেশ করেছেন ইডির তদন্তকারীরা।

চার্জশিটে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, একজন সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে রেশন বণ্টন দুর্নীতির মাধ্যমে উত্থান হয়েছে বাকিবুরের। বালুর মদতে কয়েক বছরে সাম্রাজ্যের মালিক হয়ে উঠেছেন তিনি। শুধুমাত্র বালুর সঙ্গে দুর্নীতির কারবার ফেঁদে সরকারের ৪৫০ কোটি টাকা লুঠ করেছেন বাকিবুর। সেই টাকায় দেদার সম্পত্তি কিনেছেন উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে। কখনও নিজের নামে, কখনও পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পত্তি কিনেছেন তিনি। শুধু মাত্র এই ২ জেলাতেই বাকিবুরের ১০১টি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।

তদন্তকারীরা চার্জশিটে জানিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মদতে চাল কেনার নামে দেদার দুর্নীতি করেছেন বাকিবুর। নিজের সংস্থার কর্মীদের কৃষক বলে দেখিয়ে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলেন তিনি। সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে কেন্দ্রের পাঠানো চাল কেনার প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা চালান করেছেন বালুর খাদ্য দফতর। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, এর পর ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে বাকিবুরের কালো টাকার একাংশ ফেরত এসেছে মন্ত্রী বালুর কাছে। আর এই কাজে বাকিবুরের শ্যালককে কাজে লাগান বালু। উপঢৌকন হিসাবে বাকিবুরের শ্যালককে বনদফতরে চাকরি দেন তিনি।

তদন্তকারীরা চার্জশিটে জানিয়েছেন, রাজ্যের বাইরে একাধিক শহরে বাকিবুরের সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বেঙ্গালুরুসহ দেশের একাধিক শহরে তার হোটেল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া দুবাইয়ে তার ২টি ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা।