অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে ইডির তলব, হাজিরা দিতে হবে নয়াদিল্লিতে

গরুপাচার মামলার তদন্ত করছে ইডি। এবার অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বীরভূমের এক বিধায়ককে নয়াদিল্লিতে তলব করা হয়েছে। ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সেদিন তাঁর সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি এবং আয়–ব্যয়ের হিসেব নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। সেগুলি দেখতে চায় ইডি। বোলপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিলাসবহুল পার্টি অফিস তৈরি থেকে শুরু করে অনুব্রতর কালী ঠাকুরের ৬০০ ভরির বেশি সোনার গয়না কেনার টাকার উৎস জানতে চাইছে তারা। তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি বাড়তি সক্রিয়তা দেখাবে এটাই দস্তুর।

এদিকে সূত্রের খবর, ইডির ডাক পাওয়া এই বিধায়ক অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। যদিও এখন তিনি ততটা সক্রিয় অবস্থানে নেই। তাঁর নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, সম্পত্তির পরিমাণ ৫ বছরে বেড়েছে ৫ গুণ। তাই চলতি সপ্তাহে তাঁকে নয়াদিল্লিতে হাজিরা দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সেখানেই সবকিছু খতিয়ে দেখা হবে। আয়–ব্যয়ের হিসেব খতিয়ে দেখা হবে। এমনকী অনুব্রতর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হতো বলেও তথ্যও হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেসব নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

অন্যদিকে আসানসোলের জেলে যখন ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল তখন ওই বিধায়কের সঙ্গেই কথা হতো বলে ইডি সূত্রে খবর। সেটা এবার খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে ওই বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে এই বিধায়ক সবটাই এখনও গোপন রাখছেন। ইডির হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, যে ক’টি ভুয়ো কোম্পানি খুলে গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করা হয়েছে তাতে এই বিধায়ক সেগুলি খুলতে সাহায্য করেছিলেন। কালো টাকার ভাগ কার কার কাছে যেত সেটাও বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন:‌ ট্রেনের খবর স্পষ্টভাবে যাত্রীদের কাছে পৌঁছতে উদ্যোগ রেলের, শিয়ালদায় আধুনিক প্রযুক্তি

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ দলের কাছে জমা পড়ে। তাই দল তাঁকে ‘পদ’ থেকে সরিয়ে দেয়। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ–সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‌এমন নোটিশের কথা আমাদের জানা নেই।’‌ এবার উপযুক্ত নথি না পেলে নোটিশ ঝুলিয়ে পার্টি অফিস বাজেয়াপ্ত করা হতে পারেন বলে সূত্রের খবর। অনুব্রত মণ্ডলের কালী মায়ের সোনার গয়না কিনতে কারা টাকা দিয়েছিল সেটা জানতে চায় তদন্তকারীরা। গোরুপাচারের কালো টাকাতে কেনা হয়েছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এত কিছুর পর গরু পাচারের তদন্তে গতি না আসায় সাধারণ মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সাধারণ মানুষ ধরে নিতে শুরু করেছে বাংলা জিততে না পেরে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এমন ঘটছে।