গত পাঁচ বছরে হাজারের বেশি ট্রেন চালককে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, জানালেন রেলমন্ত্রী

বিপুল পরিমাণ ট্রেনের চালককে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হল। এই ট্রেন চালকদের আর ট্রেন চালাতে হবে না। হাজারের বেশি ট্রেন চালকের কপালে জুটেছে এমন শাস্তিই। আজ, শুক্রবার সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে এই কথা জানিয়েছেন খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৭৬১ জন ট্রেন চালককে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তাঁরা আর ট্রেন চালাতে পারবেন না। অন্যান্য রেলের কাজ করতে পারবেন। তবে গত পাঁচ বছরে ১৭৬১ জনকে ট্রেন চালানোর কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে গোটা দেশে ট্রেনের চালক ৮.‌২৮ কোটি রয়েছে। তার মধ্যে ১৭৬১ জন ট্রেন চালককে ড্রাইভার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ তাঁরা ব্রেথ অ্যালাইজার পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। বরং ডাহা ফেল করেছেন। এই তথ্য দিয়েছেন খোদ রেলমন্ত্রী। অর্থাৎ ওই পরীক্ষা ধরা পড়েছিল তাঁরা নেশা করেছিলেন। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ট্রেন চালিয়েছিলেন কিনা সেটা জানা যায়নি। তবে এভাবে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ট্রেন চালালে যাত্রীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। এমনকী ট্রেন দুর্ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারে। সম্প্রতি করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। যা এখনও স্মৃতিতে দগদগে।

অন্যদিকে রেলমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৬৭৪ জন চালক ছিলেন যাত্রীবাহী ট্রেনের। আর ১ হাজার ৮৭ জন চালক ছিলেন মালগাড়ির। এই ট্রেন চালকরা সরাসরি ব্রেথ অ্যালাইজার পরীক্ষায় ব্যর্থ হন। তবে এই গোটা সংখ্যাটির মধ্যে উত্তর রেলের ছিলেন ৫২১ জন, ২৮৭ জন পশ্চিম রেলের এবং ২১৯ জন পূর্ব সদর রেলের লোকো পাইলট। ২০১৪ সাল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। যেখানে ট্রেন চালকরা বাধ্য ট্রেন চালানোর আগে পরীক্ষা দিতে ব্রেথ অ্যালাইজার যন্ত্রে। কিন্তু দেখা গিয়েছে কিছু ট্রেন চালকের রক্তে অ্যালকোহল রয়েছে। তাই এই শাস্তির মুখে পড়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌শুভেন্দু ঝাঁপ দিলে কোন পরিচয় সামনে আসত?’‌ সংসদে হামলা নিয়ে বিজেপিকে খোঁচা কুণালের

এছাড়া আজ, শুক্রবার বিহারের বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদী প্রশ্ন করেছিলেন, গত পাঁচ বছরে সারা দেশে কতজন ট্রেন চালক ব্রেথ অ্যালাইজার পরীক্ষায় ফেল করেছেন?‌ তারই উত্তর দিতে গিয়ে এই তথ্য লোকসভায় তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এমনকী এই ট্রেন চালকদের ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‌এখন প্রত্যেক ট্রেন চালককে ডিউটিতে যোগ দেওয়ার আগে এই পরীক্ষা দিতে হয়।’‌ তবে একটি তথ্য জানার অধিকার আইনে (‌আরটিআই)‌ জানতে চাওয়া হয়েছিল কর্তব্যরত অবস্থায় কতজন ধরা পড়েছে। যা জানাননি রেলমন্ত্রী বলে অভিযোগ।