বিজয় দিবসকে ঘিরে পর্যটকে মুখর কুয়াকাটা

হরতাল ও অবরোধের কারণে দীর্ঘদিন কুয়াকাটায় পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম ছিল। বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে সৈকতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা ভিড় করতে শুরু করেন। শুক্রবার বিকালে সৈকত এলাকা পর্যটকে মুখর হয়ে ওঠে। হোটেল-মোটেল-রিসোর্টগুলো বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

 

ঢাকার মিরপুর থেকে আগত হায়দার-আননু দম্পতি জানান, হরতাল-অবরোধের কারণে তারা বের হওয়ার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। বিজয় দিবসে হরতাল-অবরোধ না থাকায় তারা বৃহস্পতিবার রাতে তিন দিনের ছুটি কাটাতে কুয়াকাটা ছুটে আসেন। এখানে এসে রাখাইন মার্কেট, বৌদ্ধবিহারসহ দর্শনীয় স্পটগুলো ঘুরে বেড়িয়েছেন। তারা বলেন, ‘খুবই ভালো লেগেছে এখানকার পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য। শুঁটকি,আচার ও বার্মিজ সামগ্রী কিনেছি।’

সৈকতে ছাতা বেঞ্চ ব্যবসায়ী আব্বাস কাজী বলেন, ‘অবরোধ-হরতালের কারণে কুয়াকাটা পর্যটকশূন্য ছিল। বিজয় দিবস উপলক্ষে অনেক পর্যটকের আগমনে সৈকত প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আমাদের ব্যবসা ভালোই হচ্ছে।’

আবাসিক হোটেল সৈকতের ম্যানেজার আবজাল গাজী জানান, তাদের হোটেলে ৫০টি কক্ষ রয়েছে। সবগুলোই বুকিং হয়েছে। আগামী ইংরেজি নববর্ষ পর্যন্ত বহু পর্যটকের সমাগম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মধু হাওলাদার বলেন, ‘অনেকদিন পর আজ কুয়াকাটা সৈকতে ব্যাপক পর্যটক এসেছেন। বেচাকেনাও খুব ভালো হয়েছে।’

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, ‘গত এক মাসের মধ্যে আজ বেশি পর্যটক এসেছেন। সবগুলো হোটেলেই কমবেশি কক্ষ বুকিং রয়েছে। চলতি মাসজুড়ে পর্যটকদের ভিড় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে হরতাল-অবরোধের শঙ্কাও রয়েছে।’

টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক মো. হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত অনেক পর্যটক আসছেন। আমরা তাদের সেবায় নিয়োজিত আছি। যেকোনও রকমের নাশকতা রোধে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’

কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার বলেন, ‘বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে অনেক পর্যটক এসেছেন। এ জন্য দীর্ঘ দেড় মাস পর পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি দেখা গেছে।’