হরিপাল স্টেশনে উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধার মুখে রেল অফিসাররা, আটকালেন বেচারাম মান্না

আজ, শুক্রবার হরিপাল স্টেশনে উচ্ছেদ অভিযানে নামে রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের জমি জবরদখল করে বসবাস করছেন কিছু মানুষ বলে অভিযোগ। তাই রেলের উন্নয়নের জন্য তা উচ্ছেদ করতে যান রেল অফিসাররা। কিন্তু এই উচ্ছেদ করা যাবে না বলে রেলের অফিসারদের সরাসরি জানান উপস্থিত তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বরা। একইসঙ্গে রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় সবাইকে পুনর্বাসন দিতে হবে বলে রেলের অফিসাদের কাছে দাবি রাখেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক করবী মান্না। এই নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দু’‌পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। অবশেষে মন্ত্রী বেচারামা মান্না ঘটনাস্থলে আসেন। আর রেলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে উচ্ছেদ আটকে দেন।

এদিকে শীতের সময় মাথার উপর ছাদ বাঁচানোয় বাসিন্দারা বেচারাম মান্নাকে করজোড়ে ধন্যবাদ জানান। এখানের বাসিন্দারা স্লোগান তোলেন, ‘‌বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ অনুযায়ী উচ্ছেদ করা যাবে না।’‌ এই গোটা ঘটনায় পরিস্থিতি জটিল আকার নেওয়ায় রেলের অফিসার পল্লব পাত্র বলেন, ‘‌রেলের উন্নয়নের জন্য রেলের জায়গা খালি না করলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই রেলের জায়গা খালি করা হচ্ছিল। আমরা এখানে এসে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং স্থানীয় মানুষের থেকে প্রচুর বাধা পেয়েছি। তাই আমাদের কাজ সফল হল না। ওনাদের বক্তব্য, আগে বিধায়ক বা সাংসদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বিষয়টি আমরা উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিচ্ছি।’‌

অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষ স্লোগান দেওয়ায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। এই বিষয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ‘‌রেলের জায়গা দখল করে তৃণমূল পার্টি অফিস করেছে। রেলের জায়গা দখল করে অবৈধ কার্যকলাপ হয়। সেটার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে রেল কর্তৃপক্ষকে আবেদন করেছিলাম। রেল তার ব্যবস্থা নেবে। আর যারা গরিব মানুষ তাদের পুনর্বাসনের জন্য রেল নিশ্চিত বিষয়টি ভাবনাচিন্তা করবে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসের পুনর্বাসনের জন্য নয়।’‌

আরও পড়ুন:‌ জলপাইগুড়িতে আদিবাসী গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ, তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ

বিজেপি সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আঙুল তোলায় পাল্টা জবাব আসে। মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, ‘‌যেখানে নতুন কোন প্রকল্প হবে সেখানে নিশ্চয়ই আমরা সহযোগিতা করব। কিন্তু যেখানে কোনও নতুন প্রকল্প নেই, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তারা এই কাজটা করছে। কারণ হরিপালে বিজেপি পায়ের তলায় মাটি পাচ্ছে না। বিজেপি বিধায়ক সম্পূর্নভাবে এটা করাচ্ছেন। পুনর্বাসন দিয়ে তারা কাজ করুক। আলোচনা করে কাজ করুক। আমরা নিশ্চয়ই সহযোগিতা করব। আমি নিজে ডিআরএমের কাছে গিয়েছিলাম এই হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য।’‌ তবে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানান, আগামী দিনে বিধায়ক–সহ সমস্ত মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেই উন্নয়নের কাজ করা হবে।