Duare Sarkar: এবারের দুয়ারে সরকারে থাকছে ২ লক্ষ শিবির, করা যাবে শস্য চাষে সহায়তার আবেদন

আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার। অষ্টম দফার দুয়ারে সরকারে রাজ্যজুড়ে কয়েক লক্ষ শিবির তৈরি করা হবে। তাতে বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদি। এবারের দুয়ারে সরকারে এই প্রথম শস্য  চাষের সহযোগিতার জন্য আবেদন জানানো যাবে। এই বিষয়ে আবেদন নেওয়া হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং পরিষেবা প্রদান শেষ হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি।

আরও পড়ুন: জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে বিশেষ নির্দেশ দিল নবান্ন, দুয়ারে সরকারে মানতে হবে নিয়ম

এবারের দুয়ারে সরকারের কর্মসূচিতে রাজ্যজুড়ে প্রায় ২ লক্ষ্য শিবির গড়ে তোলা হবে। তাতে ৩৬ ধরনের পরিষেবা দেওয়া হবে। এছাড়া আদিবাসী এলাকা এবং সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভ্রাম্যমান শিবিরের ব্যবস্থা করা হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার এই ধরনের ভ্রাম্যমান শিবির করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এবারের দুয়ারে শিবিরে চা বাগান, আদিবাসী এবং সুন্দরবন এলাকায় বিশেষভাবে নজর দেওয়ার জন্য জেলা শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকারের শিবিরে অভিযোগ জানানোর জন্য থাকবে বাক্স। তার পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরীক্ষার শিবিরও থাকবে। দুয়ারে সরকারে খাদ্য সাথী, স্বাস্থ্য সাথী এবং বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকার ঠিকমতো চলছে কিনা তা দেখার জন্য দায়িত্বে থাকবেন ৪০ জন সিনিয়ার আধিকারিক। এছাড়া, রাজ্য জুড়ে ৪৫০ টি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার  গত তিন বছরে এখনও পর্যন্ত ৮ কোটি মানুষ দুয়ারে সরকারের শিবির থেকে পরিষেবা পেয়েছেন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতিগত শংসাপত্র ভুয়োভাবে তৈরি হচ্ছে বলে প্রশ্ন তোলেন। এদিনের বৈঠকে জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে জেলাশাসকদের বিশেষ নির্দেশ দেন জেলাশাসক। 

নির্দেশে বলা হয়েছে, যে সমস্ত আদিবাসীদের জাতিগত শংসাপত্র নেই তাদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য জোগাড় করতে হবে। তারা যাতে বঞ্চিত না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। এর পাশাপাশি  এদিনের বৈঠকে বিএলআরওর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্য সচিব। যে সমস্ত বিএলআরও জমি মাফিয়াদের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।  সেক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব।