শীঘ্রই আলফার সঙ্গে শান্তিচুক্তি, সেনা ছাউনির বাইরে হামলার পরেই জানালেন হিমন্ত

অসমে সেনা ছাউনির প্রবেশপথে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তাতে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। এ নিয়ে দু’মাসে তিনবার বিস্ফোরণ ঘটল অসমে। এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে আলফা গোষ্ঠী। শুক্রবার ভোরে জোরহাটের সেনা শিবিরের মূল প্রবেশপথের সামনে বিস্ফোরণ ঘটায় এই গোষ্ঠী। এই হামলার নিন্দা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। একইসঙ্গে আলফা গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: সিঙ্গুর পর্ব অতীত, এবার অসমে ৪০,০০০ কোটি বিনিয়োগ করতে চাইছে টাটা, উচ্ছসিত হিমন্ত

নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের লক্ষ্য হল এই মাসের মধ্যে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে আলফা গোষ্ঠীর সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করা। তিনি আরও বলেন, একবার চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে সরকার পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন আলফা গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনার জন্য সবরকমের প্রচেষ্টা চালাবে। 

তিনি বলেন, ‘আমরা চলতি মাসের মধ্যেই আলফা গোষ্ঠীর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা করেছি। একবার তাদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে আমরা তাদের সঙ্গে শান্তির জন্য সবরকমভাবে আলোচনা করব। শান্তি চুক্তির জন্য একটি যথাযথ খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। তবে এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এই বছরের শেষ নাগাদ বা আগামী বছরের জানুয়ারিতে আমরা আলফা গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি করতে চাই।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আলফা গোষ্ঠীর হামলার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, ‘পরেশ বড়ুয়াকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে গ্রেনেড হামলা রাজ্যের উন্নয়নকে বাধা দেবে। পরেশ বড়ুয়া-সহ সবার একটা কথা বোঝা উচিত। হিংসা অসমকে আরও পিছনে নিয়ে যাবে। কয়েকটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ অসমকে স্বাধীন করবে না। তবে অসম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অসমে একটি নতুন পরিবেশ তৈরি হয়েছে এবং রাজ্যে বিনিয়োগও আসছে। এই ধরনের ঘটনা অসমের উন্নয়নকে থমকে দেবে। তাই আমি প্রশ্ন করতে চাই নিজের মাতৃভূমিতে কে হামলা চালায়? কারও প্রতি ক্ষোভ থাকলে তা চলতে দিন। সেটা আলাদা কথা। তাতে আমরা চিন্তিত নয়। কিন্তু এই ধরনের কর্মকাণ্ড অসমে কী নিয়ে আসবে? একবার ভাবুন।’

পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আলফা নেতার সঙ্গে আলোচনা করা কোনও সমস্যা নয়। তবে গুরুতর বিষয়ে একটি চুক্তি করাই আসল চ্যালেঞ্জ। তিনি আরও জানান, মাঝে মধ্যেই পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে দশ-বারোবার কথা বলেছি। তার সঙ্গে কথা বলা কোনও বিষয় নয়। কিন্তু আমাদের দুজনেরই নিজস্ব বাধ্যবাধকতা আছে। মতামতের মিল এখানে আসল বিষয়। আলোচনা করতে সমস্যা নেই।’