‘কমল’ ফুটতে কমলের চাকরি গেল মধ্যপ্রদেশে! হেরে যাওয়া নেতাকেই প্রধান করল কংগ্রেস

মধ্যপ্রদেশে সদ্য সমাপ্ত হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তাতে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। তারপরেই মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বড়সড় রদবদল করল দল। রাজ্য কংগ্রেসের প্রধানের পর থেকে সরিয়ে দেওয়া হল প্রবীণ নেতা কমল নাথকে। তাঁর জায়গায় মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি করা হল অনগ্রসর শ্রেণির নেতা জিতু পাটওয়ারিকে। রাউ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এবার বিজেপি প্রার্থীর কাছে হেরেছেন জিতু পাটওয়ারি। তা সত্ত্বেও তাঁকে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান করা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও সামনে লোকসভা নির্বাচন। সেই কথা মাথায় রেখেই অনগ্রসর শ্রেণির এই নেতাকে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে শোচনীয় হারের পর পদত্যাগ করুন কমল নাথ, চাইছে হাইকমান্ডও

শনিবার কংগ্রেসের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই রদবদলের কথা জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিদায়ী সভাপতি কমল নাথের প্রশংসা করেছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব।। এদিকে, আদিবাসী কংগ্রেস নেতা উমং সিঙ্গার এখন রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলের নতুন মুখ হতে চলেছেন। তিনিই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হবেন। সিঙ্গার গান্ধওয়ানি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। পাশাপাশি আটার বিধায়ক হেমন্ত কাটরেকে বিরোধী দলের ডেপুটি নেত্রী করা হয়েছে। দলের তরফে জানানো হয়েছে, জিতু পাটওয়ারি নির্দিষ্ট সময় থেকে সভাপতির পদ সামলাবেন।

কে এই জিতু পাটওয়ারি?

১৯৭৩ সালের ১৯ নভেম্বর ইন্দোরের পার্শ্ববর্তী ছোট শহর বিজলপুরে জন্মগ্রহণ করেন জিতু। তিনি সরকারি মাল্টি মালহার আশ্রম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করার পর ইন্দোরের দেবী অহিল্যা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। বাবা রমেশচন্দ্র পাটওয়ারি কংগ্রেসের একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন। পাটওয়ারি ২০১৩ সালে রাউ বিধানসভার বিধায়ক হিসাবে তাঁর রাজনৈতিক ইনিংস শুরু করেছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে রাউ কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ী হলেও ২০২৩ সালে হেরে যান।

তিনি মধ্যপ্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। ১৫ বছর পর কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর কমলনাথ সরকারের অধীনে মধ্যপ্রদেশের উচ্চশিক্ষা, ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন পাটওয়ারি। ২০২০ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় পদত্যাগ করেছিলেন। ২০২৩ সালের নির্বাচনে রাউ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থীর কাছে ৩৫,০০০ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন তিনি। তবে অনগ্রসর শ্রেণির ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই তাঁকে দলের রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।