Justice Amrita Sinha: বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীকে ফের তলব সিআইডির, এবার ফোন জমা দেওয়ার নির্দেশ

বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে-কে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ফের তলব কল সিআইডি। ওই দিন তাঁকে ভবানী ভবনে যেতে বলা হয়েছে। সোমবার তাঁর ফোনও জমা দিতে বলা হয়েছে। এই নিয়ে তৃতীয়বার প্রতাপচন্দ্র দে-কে তলব করল সিআইডি। 

বিচারপতির স্বামীকে যে মামলায় ডেকে পাঠানো হয়েছে, তা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। ৬৪ বছর বয়সি এক বিধবা ও তাঁর মেয়ের অভিযোগের ভিত্তি সিআইডিকে তদন্ত করতে বলে শীর্ষ আদালত। পেশায় আইনজীবী বিচারপতির স্বামীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি মামলায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে।

এই মামলায় ১ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালত বলে, পুলিশ আইন মেনে পদক্ষেপ করতে পারবে। পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট বলে বিচারপতি সিনহার স্বামীর বিরুদ্ধে বাড়তি কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। 

প্রসঙ্গত, এর আগে প্রতাপচন্দ্র দে-কে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। গত শনিবারও তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। সেই দিনও প্রায় ন’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। 

(পডুন। বিমানবন্দরে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৪ লক্ষ টাকা প্রতারণা, পুলিশের জালে অভিযুক্ত) 

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি এলভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ ভয়হীন ভাবে সিআইডিকে তদন্ত চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেয়। কোন রমকম প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হলে শীর্ষ আদালতকে জানানোর কথাও বলা হয়। ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্তে শেষ করে তার মুখবন্ধ খামে শীর্ষ আদালতকে দিতে বলা হয়। 

আইন-আদালতের খবর সংক্রান্ত সংবাদমাধ্যম বার এন্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি জমিকে কেন্দ্রে করে ওই বিধবার আত্মীয়ের সঙ্গে বিরোধের সূত্রপাত হয়। আবেদনকারী শীর্ষ আদালতে জানিয়েছেন, তাঁকে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন তাঁর দাদা ও অন্যান্য আত্মীয়রা। এমনকি বৃদ্ধাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই মারধরের সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। বৃদ্ধা তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে দু’টি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেন। 

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিধবার অভিযোগ,ওই  দু’টি মামলার তদন্তে যাতে ব্যাঘাত, তার যাবতীয় চেষ্টা করেছেন বিচারপতি সিংহের স্বামী। ফলে ওই দু’টি মামলার তদন্তপ্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। মামলাকারীরা, বিচারপতি সিংহের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন শীর্ষ আদালতে।