Mamata on parliament attack: ‘ওরা ঝাড়খণ্ড বা বিহারের, সংসদ হামলায় বাংলার কোনও যোগ নেই’, BJP-কে তোপ মমতার

আগামী ২০ ডিসেম্বর বকেয়া আদায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে রয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠক। সেই উদ্দেশ্যে আজ দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন তিনি। তার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ফের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে সংসদে হামলার ঘটনা নিয়েও মুখ খুললেন। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘বাংলার কোনও যোগ নেই।’ 

আরও পড়ুন: দিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রী,প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ছাড়া আর কী কী কর্মসূচি রয়েছে

দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে আজ রবিবার দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই দিল্লিতে নিজের কর্মসূচি নিয়ে জানান। তিনি জানিয়েছেন, আগামিকাল দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি অন্যদের সঙ্গে দেখা করবেন। পরদিন ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন। আর সবশেষে ২০ তারিখে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন। 

বকেয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ১০০ দিনের টাকা কাজ আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখা হয়েছে। সব রাজ্যকে টাকা দেওয়া হলেও শুধুমাত্র বাংলাকেই বঞ্চিত করছে কেন্দ্র। তিনি জানান, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা, গ্রামের রাস্তা প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এগুলি কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প হওয়া সত্ত্বেও সেই টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

এদিকে, সংসদের হামলার ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রথম দিকে চুপ থাকলেও এদিন এপ্রসঙ্গে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সংসদে হামলার সঙ্গে বাংলার কোনও যোগ নেই। ওরা ঝাড়খণ্ড বা বিহারের।’ এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কেন তিনি এতদিন এ বিষয়ে চুপ ছিলেন, সে বিষয়টাও স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা চায় নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। সেজন্য আমরা কোনও উলটো পালটা কমেন্ট করি না। আমরা তো আর কোনও আবোল-তাবোল বকি না, যেটা বলি সেটা আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলি।’ 

এদিনও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য দফতরের টাকাটাও বন্ধ করে দিয়েছে। গেরুয়া রং করতে হবে।’ এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মেট্রো স্টেশনগুলিতে গেরুয়া রং করা নিয়ে নিজের আপত্তির কথা জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব জায়গায় দলের লোগো আর বিজেপির কালারের ফলে মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছুই থাকবে না। কে কি খাবে সেটা ঠিক করে দেবে? কে কি পড়বে সেটাও ঠিক করে দেবে? সিলেবাসে যা ইচ্ছা তাই ঢোকাবে! টোটাল মানুষের মাথাটা ডিস্টার্ব করে দেওয়ার পরিকল্পিত পরিকল্পনা।’ উল্লেখ্য, রাজ্যের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির রং করা হয়েছে নীল-সাদা। সে প্রসঙ্গে তিনি জানান, নীল সাদা দলের রং নয়।