Morning sickness reason: গর্ভাবস্থায় কেন মাথা ঘোরে, বমি হয়? এতদিন পর ‘কারণ’ খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা

গর্ভাবস্থায় মাথা ব্যথা, বমি হল স্বাভাবিক লক্ষণ। গর্ভধারণের এক মাস পর থেকেই এই লক্ষণগুলি দেখা দিতে শুরু করে। কিন্তু কেন? কেন এই লক্ষণগুলি দেখা দেয় গর্ভাবস্থায়? কোন হরমোন এর জন্য দায়ী? সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেল হরমোনটির নাম। জানা গেল কেন ‘মর্নিং সিকনেস’ রোগে ভোগেন গর্ভবতীরা।  প্রসঙ্গত, মর্নিং সিকনেস রোগের প্রধান দুই লক্ষণ হল মাথা ব্যথা ও বমি।

‘মর্নিং সিকনেস’ (morning sickness) কী?

গর্ভাবস্থার প্রথম এক মাস কাটলেই শুরু হয় ‘মর্নিং সিকনেস’। নাম থেকে মনে হতে পারে এটি সকালবেলার রোগ। কিন্তু আদতে তা নয়। বরং দিনের যেকোনও সময় এই সমস্যা হতে পারে। কমবেশি দুই-তৃতীয়াংশ মহিলাই এই সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যার প্রধান দুই লক্ষণ বমি ও মাথা ঘোরা। এর পাশাপাশি মানসিক অবসাদেও ভোগেন অনেকে। এই রোগের কিছু সাধারণ চিকিৎসাই বর্তমানে প্রচলিত হয়েছে।

(আরও পড়ুন: টুথপেস্ট টিউবে সবুজ, লাল দাগ! এগুলি কি আদৌ পেস্টের উপকরণ বোঝায়? রইল হদিশ)

‘মর্নিং সিকনেস’ কেন ভয়ের কারণ

দুই-তৃতীয়াংশ মহিলা এই সমস্যায় ভোগেন। তবে শুধু তাই নয়, কিছু ক্ষেত্রে সমস্যাটি গুরুতর হয়ে ওঠে।  সেক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে। কমবেশি ২ শতাংশ গর্ভবতী হাইপারেমেসিস গ্রাভিদারামের (রোগটির নাম) জেরে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার থেকেও বড় কথা এই সমস্যা গুরুতর হলে রোগিনী মারা যেতে পারেন।

কোন হরমোন এর জন্য দায়ী?

সম্প্রতি ওই গবেষণাপত্র নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে GDF15 নামের একটি হরমোনের কথা। এই হরমোনটিই বিজ্ঞানীদের নয়া আবিষ্কার। হরমোনটি শরীরের বিভিন্ন কলাকোষ থেকে নির্গত হয়। বিজ্ঞানীদের কথায়, মূলত স্ট্রেস বা চাপের জন্য এই হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। তখন মস্তিষ্কের মধ্যে বিশেষ অনুভূতি পৌঁছায়। বেড়ে যায় মাথা ব্যথা, বমির মতো লক্ষণগুলি। 

(আরও পড়ুন: বিল্ডিংয়ের ফাঁকে ওই যে উঁকি মারছে বিড়ালটা, দেখতে পেলেন? সময় কিন্তু ৩০ সেকেন্ড)

কী বলছেন গবেষকরা?

গবেষণাপত্রের অন্যতম গবেষক ও জিন বিশেষজ্ঞ মারলেনা ফিজো সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গত ২০ বছর ধরে এই বিষয়ে তিনি গবেষণা করেন। তাঁর কথায়, এখনও এই সমস্যার যথাযথ চিকিৎসা নেই। এর ফলে মাঝেমাঝেই গর্ভবতী মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটে। এই গবেষণার পর রোগটির চিকিৎসা নিয়ে আরও গবেষণা হবে। তেমনটাই আশা করছেন মারলেনা। 

তবে এই হরমোন সবার ক্ষেত্রেই মারাত্মক হয়ে ওঠে? তা কিন্তু নয়। বরং বিজ্ঞানীদের কথায়, একজন কতটা অনুভূতিপ্রবণ, তার উপর নির্ভর করছে হরমোনের ক্ষরণ বাড়বে কি না। পাশাপাশি গর্ভাবস্থার আগে মহিলার শরীরে ওই হরমোন কতটা রয়েছে তাও দেখা জরুরি।