PM Modi on Parliament Breach: সংসদে সাগর-মনোরঞ্জনের ঝাঁপ নিয়ে মুখ খুললেন মোদী, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদের দর্শক গ্যালারি থেকে অধিবেশন কক্ষে ঝাঁপ দিয়েছিল সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জন গ্রেফতার হয়েছে। এই আবহে ঘটনার বেশ কয়েকদিন পর তা নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংবাদপত্র দৈনিক জাগরণকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘এই বিষয়টি খুবই গুরুতর’। মোদীর কথায়, ‘সংসদে ঘটে যাওয়া ঘটনার গুরুত্বকে মোটেও খাটো করে দেখা উচিত নয়। স্পিকার স্যার পূর্ণ গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তদন্তকারী সংস্থাগুলি বিষয়টি কঠোরভাবে তদন্ত করছে। এই ঘটনার নেপথ্যে যারা আছে, তাদের চিহ্নিত করা হবে। কী উদ্দেশ্য এই হানা, তা বুঝতেও বিষয়টির গভীরে যেতে হবে আমাদের। এই বিষয়টির বিশদ তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর সমাধানও খুঁজে বের করতে হবে। প্রত্যেকের উচিত এই ধরনের বিষয়ে বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়া।’ (আরও পড়ুন: এবার ফাঁস হতে পারে ‘সংসদে ঝাঁপের’ যাবতীয় রহস্য? পুলিশের হাতে বড় ‘ক্লু’)

আরও পড়ুন: সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই সংসদে ঝাঁপ? ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের’ খোঁজে পুলিশ

এদিকে সংসদে সাগর-মনোরঞ্জনদের ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনা নিয়ে সব সাংসদদের চিঠি লিখেছেন স্পিকার ওম বিড়লা। তাতে তিনি লিখেছেন, একটা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এই ঘটনার তদন্তের স্বার্থে। এছাড়া আরও একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করা হচ্ছে, সেটা সংসদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা দিক খতিয়ে দেখবে। আগামী দিনে যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে। চিঠিতে স্পিকার লেখেন, সংসদের ভিতরে যে ঘটনা হয়েছিল তা দুর্ভাগ্য়জনক। এটা আমাদের কাছে উদ্বেগের। ঘটনার দিনই আমরা সমস্ত দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। কীভাবে আগামী দিনে আমরা সংসদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাপারে আরও শক্তপোক্ত করতে পারি সেটা দেখা হবে। যে সমস্ত পরিকল্পনা সেদিনের মিটিংয়ে নেওয়া হয়েছিল তা অবিলম্বে প্রয়োগ করা হবে। এদিকে তিনি লিখেছেন ওই দিনের ঘটনার সঙ্গে কেউ কেউ সাংসদদের সাসপেন্ডের ঘটনার যোগসূত্র টানার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এটা অপ্রত্য়াশিত। ওই দিন যে ঘটনা হয়েছিল তার সঙ্গে সাংসদদের সাসপেন্ড হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। (আরও পড়ুন: সবুরের ফল ‘বেতন বৃদ্ধি’, মাইনে বাড়াল এই IT সংস্থা, ‘মার যাবে’ ৭ মাসের বকেয়া)

আরও পড়ুন: ‘বিবাহিত জীবনের সমস্যা…’, সজ্জন জিন্দলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ অভিনেত্রীর

এই সবের মাঝেই ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ললিত ঝায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এমন আরও এক যুবকের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। সাম্যবাদী সুভাষ সভা নামে ওই সংগঠেনর সদস্য ছিলেন সায়ন পাল নামক কলকাতার আরও এক যুবক। তবে সায়নের দাবি, ললিতকে তিনি চেনেন না। এদিকে কলকাতা পুলিশের বক্তব্য, গত জুন মাসে কলকাতায় এক মিছিল করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছিল ললিত। সেই সময় সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে নাম দেওয়া হয়েছিল নীলাক্ষ আইচ ও সায়ন পালের। এদিকে সায়ন জানিয়েছেন, তিনি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হলেও ললিতকে চেনেন না। কোনও দিন দেখেনওনি। ৫০০ জনের একটি গ্রুপের একজন সদস্য তিনি। সেই গ্রুপের একজনের কোনও কাজের দায় বাকিদের হতে পারে না। তবে বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিতে নারাজ পুলিশ। তারা সায়নকে বিস্তারে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে সূত্রের খবর।