অজানা ফলের বীজ ফাটিয়ে খেতেই বিপত্তি, পেট ব্যথা, বমি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১১ শিশু

কারও পেট ব্যথা, তো কারও বমি। কোনও অনুষ্ঠানের খাবার বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবার খেয়ে নয়, একটি অজানা গাছের ফলের বীজ খেয়ে এমন ঘটনা ঘটল। অসুস্থ হয়ে পড়ল ১১ জন শিশু। তাদের বয়স ৮ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লকের গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের বলদু গ্রামে। ঘটনায় তড়িঘড়ি তাদের ভর্তি করা হয়েছে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। ঠিক কোন গাছের ফল খেয়ে ফেলেছিল শিশুরা তা বুঝে উঠতে পারছেন না অভিভাবকরা।

আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে সিদ্ধ টিকটিকি, খেয়ে অসুস্থ ৩০ জন, তদন্তের নির্দেশ

জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের ১১জন শিশু রবিবার খেলছিল। সেই সময়ই তাদের নজর যায় অজানা গাছের ওই ফলের দিকে। তখন তারা অজানা ফলের বীজ ফাটিয়ে সকলে একসঙ্গে খেয়ে ফেলে। আর তারপরে ঘটে বিপত্তি। একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ে শিশুর।পেট ব্যথা, বমি থেকে শুরু করে তাদের মাথাব্যথা শুরু হয়। তা দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পরেন পরিবারের সদস্যরা। শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই তারা জানতে পারেন আসল ঘটনা। যদিও ফলের নাম তারা জানতে পারেননি। এরপর ১১ জন শিশুর পরিবারের সদস্যরা দুশ্চিন্তায় পড়ে প্রথমে তাদের স্থানীয় হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু, ১১ শিশুর শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হলে রবিবার রাত্রি ১২টা নাগাদ ওই ১১ জন শিশুকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অসুস্থ এক শিশুর কথায়, ‘আমরা ১১ জন খেলার সময় ওই গাছের গোড়ায় গিয়ে ফলের বীজ ফাটিয়ে খেয়েছিলাম। সেখানে বেশ কয়েকজন বমি করেছিল। আমিও বমি করেছিলাম। পরে বাড়ি যাওয়ার পর আমি শুয়ে পড়ি। বিছানা থেকে উঠতেই আমরা মাথাঘোরা শুরু হয়। আমরা জানি না ওটা কোন গাছের ফল।’

মূলত বিষক্রিয়ার কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছিল। সেই মতো ১১ জন শিশুর জন্য গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছিল। তারা সেখানে আসার পরেই তড়িঘড়ি চিকিৎসা শুরু হয়ে যায়। যাবতীয় পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন সমস্ত শিশু বিপদমুক্ত রয়েছে। তবে এখনও তাদের শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে। সেই কারণে আরও দু-তিন দিন তাদের হাসপাতালে রেখে দেওয়া হবে। তারপরে সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।