‘‌কাউকে বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতে হবে’‌, আসন সমঝোতা নিয়ে বার্তা দিলেন মমতা

বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। মোদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোই লক্ষ্য। তাই তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। এই জোটের বৈঠকে যোগ দিতে নয়াদিল্লি এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই বৈঠকের পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। তবে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে আসন সমঝোতার পথে হাঁটা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তবে আস সমঝোতা নিয়ে নজর রয়েছে বাংলার দিকেও। ইন্ডিয়া জোটের সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল বাংলায় কীভাবে লড়বে? এটা বড় প্রশ্ন এখন জাতীয় রাজনীতিতে। এই আবহে আজ, সোমবার নয়াদিল্লি থেকে বাংলার আসন সমঝোতা নিয়ে বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস কোন স্ট্র‌্যাটেজি নিয়ে মঙ্গলবারের বৈঠকে যোগ দেবে সেটা বড় বিষয়। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছেন, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতায় সমস্যা নেই। কাউকে গলায় ঘন্টা বাঁধতে হবে। লোকসভা নির্বাচনে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাটের ভোটিংয়ের দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় কংগ্রেসকে বহরমপুর এবং মালদা (দক্ষিণ) আসন ছাড়তে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ রাজধানীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় অবস্থান বুঝিয়ে দিলেন। বাংলায় কি কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পথে হাঁটবে তৃণমূল? সাংবাদিকদের প্রশ্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব, ‘কাউকে না কাউকে বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতে হবে। আমার কোনও সমস্যা নেই। যদি তাদের দিক থেকে ন্যায্য কিছু বলা হয়। বাংলায় এখন তাদের মাত্র দু’টি আসন আছে। আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে।’‌

অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ট্র‌্যাটেজি, যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, সেই রাজ্যে আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে সেই দলকেই শেষ কথা বলতে দিতে হবে। তবে এটা কংগ্রেস কতটা মেনে নিতে পারবে তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে পথ চলতে হলে কি বাংলায় কংগ্রেসকে বামেদের হাত ছাড়তে হবে? এমন প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, ‘‌এটা তাদের সিদ্ধান্ত। অন্য রাজনৈতিক দলের বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারি না।’‌ অর্থাৎ এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের কোর্টে বল ঠেললেন তৃণমূল নেত্রী বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক বিপর্যয়ে নয়া সিদ্ধান্ত রেলের, নড়েচড়ে বসল কর্তৃপক্ষ

আর ২১ ডিসেম্বর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক আছে। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হবে সেটা নিয়ে আবার কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবে। তারপর কতটা তারা মানতে পারল এবং কতটা পারল না সেটা প্রকাশ্যে আসবে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে। তাই এখন তারা একটু ব্যাকফুটে আছে। তবে কংগ্রেসের অন্দরের খবর, বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হলেও লোকসভার নিরিখে আসন বেড়েছে। এই কথা ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে বলবে কংগ্রেস বলে সূত্রের খবর।