Bangladeshi Infiltration: বাজারের ২ সবজি বিক্রেতা আসলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, পুলিশ ধরতেই শোরগোল মগরায়

বাজারে নতুন ২ ফুলকপি বিক্রেতাকে দেখে সন্দেহ হয়েছিল অন্য দোকানিদের। কয়েকদিন নজরদারি চালাতে সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। আর পুলিশি তদন্তে কেঁচো খুড়তে বেরলো কেউটে। জানা গেল, ফুলকপি বিক্রেতারা আসলে বাংলাদেশি। অবৈধ উপায়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে জাঁকিয়ে বসার মতলবে ছিলেন তাঁরা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির মগরায়।

মগরার গঞ্জবাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরে বিকেলে বাজারে ২ অপরিচিত যুবককে ফুলকপি বিক্রি করতে দেখেন তাঁরা। স্থানীয় বাজারের দোকানিরা কম বেশি সবাই সবার চেনা। নতুন ২ মুখ দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। সন্দেহ হয় কথা বলার ধরণেও। কথায় কথায় সন্দেহভাজন ২ যুবক জানান তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের বাসিন্দা। আলু চাষে কাজ করতে হুগলিতে এসেছেন। কিন্তু তাদের ব্যাখ্যায় সন্দেহ মেটেনি স্থানীয়দের। পরিচিত এক পুলিশকর্মীকে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ এসে ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই বেরিয়ে পড়ে সত্য।

বিপ্লব দাস ও রতন দাস নামে ওই ২ যুবক জানান, তাঁরা আসলে বাংলাদেশের চট্টোগ্রামের বাসিন্দা। অবৈধ উপায়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন তাঁরা। এর পরই ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের দাবি, পেটের তাগিদে ভারতে এসেছেন তাঁরা। তবে তা সহজে মানতে রাজি নয় পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে কী ভাবে ও কেন তারা অনুপ্রবেশ করেছেন তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর বিদেশের ওপর নির্ভরতায় সেদেশে মুদ্রাস্ফীতির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না হাসিনা সরকার। যার ফলে বাংলাদেশ ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। যার সব থেকে বেশি চাপ পড়ছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ওপরে।