অনুমতি ছাড়াই রাস্তা খুঁড়ছে বিদ্যুৎ সংস্থা, নোটিশ পাঠাল কলকাতা পুরসভা

কখনও জলের পাইপলাইন, আবার কখনও অন্যান্য কারণে রাস্তা খোঁড়ার ফলে যাতায়াতের সমস্যা হয় মানুষের। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে কলকাতাবাসীর। সেক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভাকেই দায়ী করে থাকেন স্থানীয়রা। আর এবার কলকাতা পুরসভাকে না জানিয়ে রাস্তা খোঁড়ার অভিযোগ উঠল বিদ্যুৎ সংস্থা ডব্লিউবিএসইডিসিএলের (ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড) বিরুদ্ধে। পুরসভার অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই বিদ্যুৎ সংস্থা বিদ্যুতের কেবল পাতার জন্য নিজেদের ইচ্ছামতো রাস্তা খুঁড়ছে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। এ নিয়ে বিদ্যুৎ সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছে কলকাতা পুরসভা।

আরও পড়ুন: রাস্তায় গর্ত থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ করুন, সারিয়ে যাবে পূর্ত দফতর, ধার্য বড় অঙ্ক

জানা যাচ্ছে, কলকাতা পুরসভার ১১১ থেকে ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তা খোঁড়ার কাজ শুরু করেছে বিদ্যুৎ সংস্থা। পুর আধিকারিকদের মতে, পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কাজের জন্য রাস্তা খুঁড়তে হলে আগে পুরসভার কাছে অনুমতি নিতে হয়। এরজন্য পুরসভাকে রেস্টোরেসন ফি জমা দিতে হয়। পুরসভা অনুমোদন দিলে তবেই সেই কাজ শুরু করা যায়। কারণ সেই টাকা দিয়ে পরবর্তী সময়ে কাজ সম্পন্ন হলে রাস্তা মেরামত করে থাকে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে কোনও অনুমতি না নেওয়ায় নড়েচড়ে বসেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে রেস্টোরেশন ফি আদায়ের জন্য ডব্লিউবিএসইডিসিএলকে নোটিশ পাঠিয়েছে পুরসভা। যেহেতু বর্তমানে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী রয়েছে অরূপ অবিশ্বাস এবং কলকাতা পুরসভার মেয়র রয়েছেন ফিরহাদ। ফলে এই বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে। কারণ এর আগে পুরসভার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই নেতার মধ্যে মতানৈক্য দেখা গিয়েছে।

বিদ্যুৎ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের চুরি আটকাতে রাজ্যজুড়ে ওভারহেড লাইন তুলে দিয়ে মাটির তলা দিয়ে কেবল বসাচ্ছে ডব্লিউবিএসইডিসিএল। কলকাতা পুরসভাতেও তারা সেই কাজ শুরু করেছে। কিন্তু, সংস্থাটি কলকাতা পুরসভার আইন অমান্য মনে করেছে বলে দাবি করেছে পুর কর্তৃপক্ষ। 

পুরসভার বক্তব্য, সাধারণত কোনও রাস্তা খারাপ থাকলে বা রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি হলে সে ক্ষেত্রে পুরসভাকেই দোষারোপ করে থাকেন মানুষজন। সেই কারণে এই সমস্ত কাজের ক্ষেত্রে পুরসভার অনুমতি নেওয়া হয়ে থাকে। যদিও মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এই সমস্যা নতুন নয়। অনেকে পুরসভাকে না জানিয়ে রাস্তা খোঁড়ার কাজ করে। এর ফলে মানুষের যাতায়াতে অসুবিধা হয়। তাতে স্থানীয়রা পুরসভাকে দোষারোপ করে থাকে। সেই কারণে কলকাতায় আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল ভায়াডাক্ট বানানো হচ্ছে। তার ভেতর দিয়েই সমস্ত ধরনের কেবল যাবে।